ফকিরহাট উপজেলায় আসন্ন পবিত্র ঈদ উল আযহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে বেতাগা পশুর (গরুর) হাট। হাট কর্তৃপক্ষ ব্যাপক নিরাপত্তা দিচ্ছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফকিরহাট উপজেলা খুলনা-মোংলা মহাসড়কের সুখদাড়া স্টান্ড থেকে শহিদ শেখ আবু নাসের সড়কের বেতাগা পশুর (গরুর) হাট দক্ষিনাঞ্চলের বিশাল সুপরিচিত বেতাগা ইউনিয়নের এই গরুর হাট প্রতি সপ্তাহ শুক্রবার ও সোমবার সকাল থেকে এই হাটে গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে।
এই হাটে বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে আসা যাওয়া খুবই সহজে গরুর মালিক ও ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে দেখে শুনে বাছাই করে দরদাম করে ক্রয় বিক্রয় করতে পারছেন। এই গরুর হাটের ইজারার মালিক বেতাগা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক তরুন প্রজন্মের অহংকার আনন্দ কুমার দাস এই প্রতিবেদককে বলেন, দেশের মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারনে অন্য বছরের তুলনায় এবারের ব্যবসায়ীদের আগমন থাকলেও ক্রেতাদের আশানুরূপ অনেক কম। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি বিধি নিষেধ মেনে হাট পরিচালনা করে যাচ্ছি৷
তিনি আরও বলেন, গরুর মালিক ও ব্যবসায়ী এবং নেতাদের গরু ক্রয় বিক্রয়ে এই হাটে সর্বদা নিরাপত্তার নির্বিঘ্নতাদের সহ কোন প্রকার অসৎ ব্যবসায় করার কোন সুযোগ নেই এই হাটে এবং হাট চলা কালিন সার্বক্ষণিক প্রসাশন সহ হাট এলাকায় অতিরিক্ত সেচ্ছাসেবক গ্রুপ বিক্রেতা ও ক্রেতাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে। গরু (পশু) র কেনা বেচা বিষয়ে প্রতি গরুতে কত টাকা নেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, গরুর দামের উপর নির্ভর করে আমরা সরকারি নিয়মানুযায়ী খাজনা নিয়ে থাকি অনেক সময় কমও নিতে হয়।
আমাদের এই হাট ব্যবসা হিসেবে দেখিনা। এই গরুর হাটে বিক্রয় ও ক্রেতাদের সেবা সহ তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই গরুর হাটে আগত ঢাকা, খুলনা, মোল¬ার হাট, পিরোজপুর, মোড়েলগঞ্জ, মনিরামপুর সহ বিভিন্ন জেলা থেকে গরু নিয়ে আসা, নজরুল, আউয়াল,সাদেক,জাকির, বাবু সহ অনেকে বলেন, বেতাগা গরুর হাটের বেচা কেনা ও সর্ব দিক থেকে নিরাপত্তা পাওয়ায় আমরা এই হাটে ব্যবসা বানিজ্য করতেছি নিরাপদে।