ঢাকা ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

ফুলবাড়ী উপজেলা ভূমি অফিসটির বেহাল অবস্থা

ফুলবাড়ী উপজেলার সহকারী কশিনার ভূমি অফিসটির বেহাল অবস্থা। গাদাগাদি করে কর্মকর্তা কর্মচারীরা অতি কষ্টে অফিস করছে।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার সহকারী কশিনার (ভূমি) অফিসটি দিনাজপুরের জনৈক ঠিকাদার ২০০৯ সালে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসটি নির্মাণ করেন। নির্মাণের ১০ বছরের মধ্যেই ফুলবাড়ী সহকারী কমিশানর (ভূমি) অফিসটির ঘরের প্লাস্টার খুলে পড়ছে। ঘরগুলি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে একটি টেবিল, ১টি চেয়ার বসালে আর কোন জায়গা থাকে না। প্রায় ১৪ থেকে ১৫ জন কর্মকর্তা কর্মচারী গাদাগাদি করে ছোট্ট প্রসরের ঘরগুলিতে অফিস করছেন।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসটি ২০০৯ সালে নির্মাণ হওয়ার পর তৎকালীন ভূমি প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব এ্যাড: মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার (এমপি) ১০ জুলাই ২০১০ সালে ফুলবাড়ী সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র অফিসটি উদ্বোধন করেন।

উল্লেখ্য যে, প্রত্যেকটি রুমের প্রশস্ত না থাকায় গাদাগাদি করেই কাজ কর্ম করছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। ভবনটি নির্মাণের শুরু থেকেই অনিয়ম দূর্নীতি করে কাজ করছেন ঠিকাদার। ভবনটি মাপও ঠিক নেই। ভবনের স্পেস কম করে ভবনটি নির্মাণ করেছেন ঠিকাদার। জানা যায়, দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের রাজস্বখাত থেকে এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনের জানালাগুলি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

প্রত্যেক ঘরের প্লাস্টার খুলে পড়ছে। পরবর্তীতে সহকারী কমিশনার ভূমি অফিস সরকারি ফান্ড পাওয়ার পর ১তলা ভবনের মেঝে গুলি টাইলস্ লাগানো হয়। ঠিকাদার ঐ সময় ভবন নির্মাণের শিডিউল মোতাবেক কাজ করেননি। বর্তমান সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসটি ১০ ইঞ্চি ইট দিয়ে গাতনি রয়েছে। ভবিষ্যতে এই ভবনটি ২য় তলা করা সম্ভব নয়। যেহেতু শুরু থেকেই ভবনটির নির্মাণ কাজে অনিয়ম।

এ ব্যাপারে কর্মকর্তা কর্মচারীরা বলেন, অনেক কষ্টে এই ভবনে কাজ করছি। এক জনের বেশি ২জন এই অপ্রশস্ত রুমে বসে কাজ করা যায় না।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

ফুলবাড়ী উপজেলা ভূমি অফিসটির বেহাল অবস্থা

আপডেট সময় : ০৬:০২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০

ফুলবাড়ী উপজেলার সহকারী কশিনার ভূমি অফিসটির বেহাল অবস্থা। গাদাগাদি করে কর্মকর্তা কর্মচারীরা অতি কষ্টে অফিস করছে।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার সহকারী কশিনার (ভূমি) অফিসটি দিনাজপুরের জনৈক ঠিকাদার ২০০৯ সালে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসটি নির্মাণ করেন। নির্মাণের ১০ বছরের মধ্যেই ফুলবাড়ী সহকারী কমিশানর (ভূমি) অফিসটির ঘরের প্লাস্টার খুলে পড়ছে। ঘরগুলি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে একটি টেবিল, ১টি চেয়ার বসালে আর কোন জায়গা থাকে না। প্রায় ১৪ থেকে ১৫ জন কর্মকর্তা কর্মচারী গাদাগাদি করে ছোট্ট প্রসরের ঘরগুলিতে অফিস করছেন।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসটি ২০০৯ সালে নির্মাণ হওয়ার পর তৎকালীন ভূমি প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব এ্যাড: মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার (এমপি) ১০ জুলাই ২০১০ সালে ফুলবাড়ী সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র অফিসটি উদ্বোধন করেন।

উল্লেখ্য যে, প্রত্যেকটি রুমের প্রশস্ত না থাকায় গাদাগাদি করেই কাজ কর্ম করছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। ভবনটি নির্মাণের শুরু থেকেই অনিয়ম দূর্নীতি করে কাজ করছেন ঠিকাদার। ভবনটি মাপও ঠিক নেই। ভবনের স্পেস কম করে ভবনটি নির্মাণ করেছেন ঠিকাদার। জানা যায়, দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের রাজস্বখাত থেকে এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনের জানালাগুলি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

প্রত্যেক ঘরের প্লাস্টার খুলে পড়ছে। পরবর্তীতে সহকারী কমিশনার ভূমি অফিস সরকারি ফান্ড পাওয়ার পর ১তলা ভবনের মেঝে গুলি টাইলস্ লাগানো হয়। ঠিকাদার ঐ সময় ভবন নির্মাণের শিডিউল মোতাবেক কাজ করেননি। বর্তমান সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসটি ১০ ইঞ্চি ইট দিয়ে গাতনি রয়েছে। ভবিষ্যতে এই ভবনটি ২য় তলা করা সম্ভব নয়। যেহেতু শুরু থেকেই ভবনটির নির্মাণ কাজে অনিয়ম।

এ ব্যাপারে কর্মকর্তা কর্মচারীরা বলেন, অনেক কষ্টে এই ভবনে কাজ করছি। এক জনের বেশি ২জন এই অপ্রশস্ত রুমে বসে কাজ করা যায় না।