জাতির পিতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালীর পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে লাল সবুজের পতাকার বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম হত না। ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে এসেছে স্বাধীনতা। কিন্তু জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দেননি বেইমান মুসতাকরা। ১৯৭৫ সালের পনের আগস্টে নির্মমভাবে স্বপরিবারে হত্যা করে উল্লাশ করেছিল।
তাঁর মরদেহ রাতারাতি গুটি কয়েক ব্যাক্তিরা দাফন করেছিলেন। যারাই জানাজায় যেতে চেয়েছিল তাদেরকেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। জাতির জনককে হত্যার পর তাঁরা মনে করেছিল আ”লীগ নামক দলের চিহ্ন রাখবেনা। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে আ”লীগ আজ রাষ্ট্র ক্ষমতায়
আ”লীগের কঠিন সময়ে আমরা রাজপথে হাজারো বাধা অপেক্ষা করে মিছিল করেছি। আমরা যখন স্লোগান দিতাম বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসি চাই ৭১ এর রাজাকার তোরা এখন বাংলা ছাড়। তাঁরা এইসব স্লোগান উড়ে দিত, কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় বঙ্গবন্ধুর খুনি ও রাজাকারদের বিচার করেছেন দেশরতœ শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা দেশে এসে তাকে ধানমন্ডির বাড়িতেও উটতে দেয়া হয়নি।
আজ যখন শুনি কৃষক বলে শেখ হাসিনা সরকার আছে বলেই বিনা মুল্যে সার বীজ পাওয়া যায়, শেখ হাসিনা সরকার আছে বলেই বয়স্ক বিধবা প্রতিবন্ধিরা বলেন আমরা ভাতা পাই, শেখ হাসিনা সরকার আছে বলেই ঈদের সময় মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিমরা বলেন আমরা উপহার পাই । গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের আগে রাজশাহীর তানোরে আ”লীগের ৭১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অথিতির বক্তব্যে জননেতা জেলার সাবেক সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন আ’লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে কেন বাধা দেয়া হয়। এই সভায় এমপির থাকার কথা। কিন্তু তিনি না থেকে বিভিন্ন ভাবে নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। যারা আ”লীগের ইতিহাস ঐতিহ্য জানেনা তারাই এই দিনে ঘরে থেকে ভয়ভীতি দেখানই তাদের কাজ। দেশের প্রতিটি জায়গায় উন্নয়নের জোয়ার বইছে , আর তানোর গোদাগাড়ীর রাস্তা দেখলে মনে হয় এখানে বিরোধী দলের এমপি আছে। এই দিনে এমপির উচিত ছিল মহামারী করোনাভাইরাস সম্পর্কে শেখ হাসিনা যে ৩১ দফা মানার আহবান জানিয়েছেন সে বিষয়ে নেতাকর্মীদের সচেতন। এরশাদ সরকারের সময় সেনাবাহিনী মিছিল করতে দিবেনা, কিন্তু আমি আসাদ ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে মিছিল করেছিলাম।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগে রাজশাহীতে একই সেনাবাহিনী মিছিল করতে দিবেনা আমরা মিছিল করে দেখিয়ে দিয়েছিলাম। আজ আফগানস্থান সিরিয়া ইরাকসহ নানা দেশে বিদেশি সেনা রয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু পাকিস্থান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন হয়ে দিল্লিতে আসেন। দিল্লিতে এসে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রাগান্ধিকে বলেছিলেন আমার বাংলা থেকে কখন সেনা প্রত্যাহার হবে, জবাবে ইন্দ্রাগান্ধি বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন আপনি বসেন সেনা প্রত্যাহার হবে , তিনি বসেন নি শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলতে বাধ্য হয়েছিলেন ১৯৭২ সালে আপনার জন্ম দিনে সেনা প্রত্যাহার হবে।
১৯৭৪ সালে জাতিসংগে যখন তিনি পৌছেছিলেন সবাই দাড়িয়ে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছিল, তিনি জাতিসংগের মহাসচিবকে বলেন আমি বাংলায় ভাষণ দিব কারন ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে আমার বাংলার মানুষ ভাষার জন্য প্রান দিয়েছে তখন জাতির পিতাকে বাংলায় ভাষণ দিতে বাধ্য হন। জননেত্রী দেশরতœ বিশ্বের প্রভাব ১০ জনের একজন। তানোরে আ”লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী এবং সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে নতুন রুপে আ”লীগ গঠন করা হবে। দেশরতœ বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে উত্তীর্ণ করেছেন। আমি হুশিয়ারি করে বলে দিতে চাই আ”লীগের কোন নেতাকর্মীকে অযথা ভয়ভীতি দেখাবেন না ।
পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করব আ”লীগের কোন নেতাকর্মী অপরাধ করলে তদন্তে প্রমান হলে তাকে গ্রেফতার করবেন। আমি আজ অনেক দিন পর প্যান্ট সাট পরেছি, কারন আমাকে নাকি এই সভায় আসতে দেয়া হবেনা। আমি কারো রক্তচক্ষুকে ভয় পাইনা। আজ সারা বিশ্বে মহামারী করোনাভাইরাস থেকে মহান আল্লাহ দেশ ও জাতিকে রক্ষা করুন। যারা মারা গেছে তাদেরকে জান্নাতবাসি করুন। সভার শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীতের শুরেশুরে জাতীয় , দলীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা এবং প্রয়াত দুই বারের সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মাদ নাসিম, প্রয়াত ধর্ম বিষয়কপ্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক সফল মেয়র বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান গণের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় ।
উপজেলা আ”লীগের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আ”লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানীর সভাপতিত্বে বিশেষ অথিতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আ”লীগের সাবেক সহ সভাপতি এডভোকেট মুকবুল খা, উপজেলা আ”লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুসলেম উদ্দিন প্রামানিক, উপজেলা আ”লীগ নেতা তোফাজ্জুল হোসেন, সাংগঠনিক পাপুল সরকার, তানোর পৌর আ”লীগ সভাপতি ইমরুল হক, সহসভাপতি মোজাম্মেল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা আ”লীগের সহসভাপতি আব্দুল আজিজ,সরনজাই ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক, ইউপির সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সাদাত, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক আরব আলী, উপজেলা আ”লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সাবেক সার্জেন্ট মনির, মুণ্ডুমালা পৌর আ”লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্যে মেয়র গোলাম রাব্বানী তাঁর বক্তব্যে বলেন দেশরতœ শেখ হাসিনা দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান। এসময় উপজেলার সাত ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার শতশত নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।শেষে প্রয়াত নেতাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা হাসিবুল ইসলাম।