ঢাকা ০২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর প্রভাব, পরিণতি এবং কার্যকর পদক্ষেপ

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইন্সটিটিউট অফ পলিসি এন্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি) এবং সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ (সিপিএস) এর উদ্যোগে ৯জুলাই ২০২০ একটি ভার্চুয়াল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। কনফারেন্সের বিষয় ছিল বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর প্রভাব, পরিণতি এবং কার্যকর পদক্ষেপঃ মানব নিরাপত্তার আঙ্গিকে বিশ্লেষণ।

বুহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জুম এ শুরু হওয়া এ কনফারেন্সে আলোচিত বিষয় গুলো হলোঃ দারিদ্র ও অসমতা, অভিবাসন ও বৈদেশিক আয় ও করোনা-প্রভাবিত কিশোর -কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য।

এস আই পিজি’র পরিচালক অধ্যাপক এসকে. তৌফিক এম. হকের সূচনা বক্তব্যের পর দেশে করোনা পরবর্তী দারিদ্র ও অসমতার বিষয়ে পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান মনসুর বলেন দারিদ্র বিমোচনে আমরা সফল হলে ও করোনা বড় ধরনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে আসে, এতে করে নতুন করে অনেক মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে চলে আসতে পারে।

সরকারের সম্পদ বন্টনে এটা নিশ্চিত করতে হবে যেন সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর হাতে সরকারী সাহায্য পৌছায়। এরপর এস আই পিজি’র সিনিয়র ফেলো জনাব মো. শহিদুল হক করোনা কালীন সময়ে বাংলাদেশের জন্য অভিবাসনের হার কমে যাওয়ার সঙ্কার কথা উল্লেখ করেন যার মাধ্যমে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তিনি অভিবাসীদের মানবাধিকার নিশ্চিত করা ও তাদের দেশে প্রত্যাবর্তনের পর তাদের নিজ সমাজে সফল ভাবে পূনর্মিলনের উপরে জোড় দেন।

কনফারেন্সের তৃতীয় বক্তা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেলাল মহিউদ্দীন করোনা-প্রভাবিত কিশোর -কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে তার বক্তব্যে বলেন, কিশোর-কিশোরীদের করোনা কালীন চাপে ও অভি ঘাতে মানসিক স্বাস্থ্যের বিপজ্জনক দিক গুলোকে উন্মোচন করে একটি স্বাস্থ্য কৌশল প্রণয়ন করতে হবে।

পরবর্তিতে নির্ধারিত আলোচকের বক্তব্যে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এর, সিনিয়র রিসার্স ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, করোনার কারণে যারা আগে থেকেই দারিদ্র সীমার কাছা কাছি ছিল তারাই আসলে আবার নতুন করে দারিদ্র সীমার নিচে চলে আসছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে করোনা পরবর্তি দারিদ্রকে মোকাবেলা করতে হবে।

আইওএম এর চিফঅফ মিশন জনাব গিউর্গি গিগাউরি তার আলোচনায় বলেন যে, করোনাকে বল মাত্র শ্রমজীবী অভিবাসীদের উপরই নেতিবাচক ভূমিকা ফেলছেনা বরং অন্যান্য অভিবাসীরাও এর ভুক্তভুগী। পারিবারিক ক্ষেত্রে এটা নানা বিধ প্রভাব রাখছে এবং দারিদ্রের হার বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করবে।

পরবর্তি আলোচক পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মহাপরিচালক জনাব মোনজরুল ইসলাম বলেন, সরকার করোনার কারণে ভুক্তভোগী অভিবাসীদের জন্য নানা বিধ আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে এবং রাষ্ট্রীয় ভাবেও বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চালিয়ে আসছে।

সব শেষে সমাপনি বক্তব্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, দারিদ্র, অভিবাসন ও প্রজন্মের বিভাজন ভিত্তিক সমস্যা গুলো করোনা কালিন সময়ে আরো বৃদ্ধি পেতে পারে তাই আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে এর মোকাবেলা করতে হবে এবং পলিসিতে পরিবর্তনে ভূমিকা পালন করতে হবে। অবশেষে অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন।

সিপিএস এর সমন্বয়ক ড. এম. জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক বৃন্দ, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি বৃন্দ, বৃটিশ হাই কমিশন, ইউনেস্কো, ইউ এন সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দূতাবাসের প্রতিনিধি বৃন্দ, বিদেশী শিক্ষক ও গবেষক গণ।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর প্রভাব, পরিণতি এবং কার্যকর পদক্ষেপ

আপডেট সময় : ০৬:২১:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই ২০২০

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইন্সটিটিউট অফ পলিসি এন্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি) এবং সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ (সিপিএস) এর উদ্যোগে ৯জুলাই ২০২০ একটি ভার্চুয়াল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। কনফারেন্সের বিষয় ছিল বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর প্রভাব, পরিণতি এবং কার্যকর পদক্ষেপঃ মানব নিরাপত্তার আঙ্গিকে বিশ্লেষণ।

বুহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জুম এ শুরু হওয়া এ কনফারেন্সে আলোচিত বিষয় গুলো হলোঃ দারিদ্র ও অসমতা, অভিবাসন ও বৈদেশিক আয় ও করোনা-প্রভাবিত কিশোর -কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য।

এস আই পিজি’র পরিচালক অধ্যাপক এসকে. তৌফিক এম. হকের সূচনা বক্তব্যের পর দেশে করোনা পরবর্তী দারিদ্র ও অসমতার বিষয়ে পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান মনসুর বলেন দারিদ্র বিমোচনে আমরা সফল হলে ও করোনা বড় ধরনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে আসে, এতে করে নতুন করে অনেক মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে চলে আসতে পারে।

সরকারের সম্পদ বন্টনে এটা নিশ্চিত করতে হবে যেন সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর হাতে সরকারী সাহায্য পৌছায়। এরপর এস আই পিজি’র সিনিয়র ফেলো জনাব মো. শহিদুল হক করোনা কালীন সময়ে বাংলাদেশের জন্য অভিবাসনের হার কমে যাওয়ার সঙ্কার কথা উল্লেখ করেন যার মাধ্যমে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তিনি অভিবাসীদের মানবাধিকার নিশ্চিত করা ও তাদের দেশে প্রত্যাবর্তনের পর তাদের নিজ সমাজে সফল ভাবে পূনর্মিলনের উপরে জোড় দেন।

কনফারেন্সের তৃতীয় বক্তা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেলাল মহিউদ্দীন করোনা-প্রভাবিত কিশোর -কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে তার বক্তব্যে বলেন, কিশোর-কিশোরীদের করোনা কালীন চাপে ও অভি ঘাতে মানসিক স্বাস্থ্যের বিপজ্জনক দিক গুলোকে উন্মোচন করে একটি স্বাস্থ্য কৌশল প্রণয়ন করতে হবে।

পরবর্তিতে নির্ধারিত আলোচকের বক্তব্যে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এর, সিনিয়র রিসার্স ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, করোনার কারণে যারা আগে থেকেই দারিদ্র সীমার কাছা কাছি ছিল তারাই আসলে আবার নতুন করে দারিদ্র সীমার নিচে চলে আসছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে করোনা পরবর্তি দারিদ্রকে মোকাবেলা করতে হবে।

আইওএম এর চিফঅফ মিশন জনাব গিউর্গি গিগাউরি তার আলোচনায় বলেন যে, করোনাকে বল মাত্র শ্রমজীবী অভিবাসীদের উপরই নেতিবাচক ভূমিকা ফেলছেনা বরং অন্যান্য অভিবাসীরাও এর ভুক্তভুগী। পারিবারিক ক্ষেত্রে এটা নানা বিধ প্রভাব রাখছে এবং দারিদ্রের হার বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করবে।

পরবর্তি আলোচক পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মহাপরিচালক জনাব মোনজরুল ইসলাম বলেন, সরকার করোনার কারণে ভুক্তভোগী অভিবাসীদের জন্য নানা বিধ আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে এবং রাষ্ট্রীয় ভাবেও বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চালিয়ে আসছে।

সব শেষে সমাপনি বক্তব্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, দারিদ্র, অভিবাসন ও প্রজন্মের বিভাজন ভিত্তিক সমস্যা গুলো করোনা কালিন সময়ে আরো বৃদ্ধি পেতে পারে তাই আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে এর মোকাবেলা করতে হবে এবং পলিসিতে পরিবর্তনে ভূমিকা পালন করতে হবে। অবশেষে অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন।

সিপিএস এর সমন্বয়ক ড. এম. জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক বৃন্দ, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি বৃন্দ, বৃটিশ হাই কমিশন, ইউনেস্কো, ইউ এন সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দূতাবাসের প্রতিনিধি বৃন্দ, বিদেশী শিক্ষক ও গবেষক গণ।