ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আক্কেলপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন পবিত্র রমজান সকল মুসলমানের জন্য নেয়ামত হিসেবে আল্লহ ফরজ করেছেন – সাইফুজ্জামান শিখর এমপি প্রেমিকের সাথে বিয়ে না দেওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা সুন্দরগজ্ঞে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উৎযাপন সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে উধাও তোলপাড় তানোর রাণীশংকৈলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উপহার পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী জিয়া ছিলেন মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর: তথ্যমন্ত্রী দৌলতপুরে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত রাণীশংকৈলে জোরপূর্বক জমি দখল ও ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে আদিবাসিদের বিরুদ্ধে

বাগেরহাটে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

বাগেরহাটে শরণখোলায় মাদরাসা শিক্ষার্থী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী। বুধবার (২৪ জুন) দুপুরে শরণখোলা উপজেলার দক্ষিন বাজারে ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আউয়াল মোল্লা, রায়েন্দা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার, শিক্ষক খলিলুর রহমান, রায়েন্দা ইউনিয়ন তাতী লীগের সেক্রেটারি সোহাগ হাওলাদার, নির্যাতিতার পিতাসহ এলাকাবাসী।

বক্তারা বলেন, মাদরাসা শিক্ষার্থী অপহরণ করে ১৮দিন আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় হলেও আসামী রাকিব হাওলাদার, মুন্না ভুইয়াসহ সকলে প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাদী ও বাদীর পরিবারকে মেরে ফেলা ও এলাকা ছাড়া করার হুমকী ধামকী দিচ্ছে আসামীরা। বাদী ও তার পরিবার এখন নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। আমরা এর ন্যায় বিচার চাই। যেকোন মূল্যে আসামীদের আটককরে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।

নির্যাতিতার পিতা ও মামলার বাদী বলেন, ছোট বেলায় স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে দাদীর কাছে বড় হয় আমার মেয়ে। আমার মেয়ের উপর যারা এই পৈচাষিক অত্যাচার ও নির্যাতন করেছে আমি তাদের নামে মামলা করেছি। মামলা করার কারণে আমার মেয়েকে আবার তুলে নেওয়া ও পরিবারের সকলকে মেরে ফেলার হুমকী দিচ্ছে আসামীরা। আমার এতিম মেয়েকে যারা নির্যাতন করেছে আমি তাদের শাস্তি ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন অসহায় এই বাবা।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসকে আবু সাইদ বলেন, অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামীদের আটকের জন্য পুলিশের একটি বিশেষ টিম কাজ করছে। যেকোন মূল্যে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। কোন অপরাধী ছাড় পাবে না।

২২ মে রাজাপুর মাদরাসার ১০ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে আটকে রাখে। ১৮দিন পরে ১০ জুন রায়েন্দা বাসস্টান্ড থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার পিতা। পরবর্তীতে উদ্ধারের দুইদিন পরে ১২ জুন অপহরণকারী রাকিব হাওলাদার, মুন্না ভুইয়াসহ ৬জনের নাম উল্লেখ শরণখোলা থানায় মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতার পিতা। মামলার পরে ১২ দিন পার হলে কোন আসামী আটক হয়নি।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

আক্কেলপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

বাগেরহাটে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৮:৪৩:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুন ২০২০

বাগেরহাটে শরণখোলায় মাদরাসা শিক্ষার্থী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী। বুধবার (২৪ জুন) দুপুরে শরণখোলা উপজেলার দক্ষিন বাজারে ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আউয়াল মোল্লা, রায়েন্দা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার, শিক্ষক খলিলুর রহমান, রায়েন্দা ইউনিয়ন তাতী লীগের সেক্রেটারি সোহাগ হাওলাদার, নির্যাতিতার পিতাসহ এলাকাবাসী।

বক্তারা বলেন, মাদরাসা শিক্ষার্থী অপহরণ করে ১৮দিন আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় হলেও আসামী রাকিব হাওলাদার, মুন্না ভুইয়াসহ সকলে প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাদী ও বাদীর পরিবারকে মেরে ফেলা ও এলাকা ছাড়া করার হুমকী ধামকী দিচ্ছে আসামীরা। বাদী ও তার পরিবার এখন নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। আমরা এর ন্যায় বিচার চাই। যেকোন মূল্যে আসামীদের আটককরে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।

নির্যাতিতার পিতা ও মামলার বাদী বলেন, ছোট বেলায় স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে দাদীর কাছে বড় হয় আমার মেয়ে। আমার মেয়ের উপর যারা এই পৈচাষিক অত্যাচার ও নির্যাতন করেছে আমি তাদের নামে মামলা করেছি। মামলা করার কারণে আমার মেয়েকে আবার তুলে নেওয়া ও পরিবারের সকলকে মেরে ফেলার হুমকী দিচ্ছে আসামীরা। আমার এতিম মেয়েকে যারা নির্যাতন করেছে আমি তাদের শাস্তি ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন অসহায় এই বাবা।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসকে আবু সাইদ বলেন, অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামীদের আটকের জন্য পুলিশের একটি বিশেষ টিম কাজ করছে। যেকোন মূল্যে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। কোন অপরাধী ছাড় পাবে না।

২২ মে রাজাপুর মাদরাসার ১০ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে আটকে রাখে। ১৮দিন পরে ১০ জুন রায়েন্দা বাসস্টান্ড থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার পিতা। পরবর্তীতে উদ্ধারের দুইদিন পরে ১২ জুন অপহরণকারী রাকিব হাওলাদার, মুন্না ভুইয়াসহ ৬জনের নাম উল্লেখ শরণখোলা থানায় মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতার পিতা। মামলার পরে ১২ দিন পার হলে কোন আসামী আটক হয়নি।