বাগেরহাটের শরণখোলায় সাউথখালী অংশে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে নির্মানাধীন বেড়িবাঁধ পরিদর্শণ করেছেন বরিশালের শেখ হাসিনা সেনা নিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মাদ জিয়াউর রহমান।
মঙ্গলবার দুপুরে তিনি ঘূর্ণিঝড় আমপানে ক্ষতিগ্রস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের ক্ষতিগ্রস্থ অংশে নির্মানাধীন রিংবাঁধ পরিদর্শণ করেন।বাঁধ নির্মান ও নদী রক্ষা কাজের বিভিন্ন বিষয় খোজ খবর নেন। ঠিকাদার ও বাধ তত্ত্বাবধায়নের কাজে নিয়োজিত সেনা কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
এসময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মাদ আল মাসুম, বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, সহকারী পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম, শরনখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মুক্তা সহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।এর আগে বাঁধের পাশে বসবাসরত আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ ও করোনায় কর্মহীন ২০টি হত দরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেন এই কর্মকর্তা। সেনা বাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ নির্মাণ হওয়ায় খুশি হয়েছেন স্থানীয়রা।
২০ মে ঘূর্নিঝড় আম্পানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালি ইউনিয়নের বগী ও গাবতলা অংশের প্রায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে স্থানীয়দের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। পরে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ পরিদর্শণ করেন। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে বাঁধ নির্মানের কথা বলেন। জুনের মাঝামাঝি সময়ে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে ১ হাজার ৭‘শ মিটার রিংবাধ নির্মান ও ৬‘শ মিটার নদীর তীর সংরক্ষন কাজ শুরু কাজ শুরু হয়।
বিজেজিইও টেক্সটাইল লি., টেক বে ইন্টারন্যাশনাল, মেসার্স রুস্তম ট্রেডার্স, মেসার্স আজমল হোসেন নামের চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই কাজ করছেন।ইতোমধ্যে এসব কাজের প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ করেছে ঠিকাদাররা।আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কোরবানির ঈদের আগেই ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় রিংবাধ নির্মান ও নদীর তীর সংরক্ষন কাজ শেষ হবে বলে দাবি করেছেন ঠিকাদাররা।