বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিষখালী-কন্দপুকুর-বহরবৌলা খাল খননের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবৌলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে স্থানীয় শতাধিক নারী ও পুরুষ কৃষক এই মানববন্ধনে অংশ নেয়।
ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বনগ্রাম ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি চিত্ত রঞ্জন ঢালী, শিক্ষক দোলন ঢালী, সুজাত, বাবুল সিংহ, সাব্বির শেখ, শিউলী রানী ঢালী, রঞ্জন মল্লিকসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের অর্থায়নে বিষখালী-কন্দপুকুর-বহরবৌলা খালের ২ কিলোমিটার খনন শুরু হয়। ৫-৬‘শ মিটার খুব ভালভাবে খনন করে। পরে খাল খনন বন্ধ হলে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। খালটি খনন হলে এলাকায় ফসলাদির উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। কৃষকদের মুখে হাসি ফুটবে। যেকোন মূল্যে অতিদ্রুত খাল খননের দাবি জানান কৃষকরা।
এলাকাবাসির অভিযোগ, সাবেক ইউপি সদস্য অঞ্জলি হালদার, অঞ্জন হালদার, বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিসসহকারী মনি শঙ্কর ঢালিসহ কিছু অসাধু লোক খাল খননে বাধা দেয়।এক পর্যায় স্থানীয় বনগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকেরা খাল খনন বন্ধ করে দেয়।
স্থানীয় ঠিকাদারের ম্যানেজার মনি শঙ্কর মল্লিক বলেন, খাল খনন শুরু হওয়ার কিছুদিন পরে কয়েকজন লোক এসে খননে বাঁধা দেয়। বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিপন চন্দ্র দাস আমার ঠিকাদারের কাছে একলক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমরা টাকা না দেওয়ায় সে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সুনীল কুমার মন্ডল বলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ আমরা অনুরোধ করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের মাধ্যমে এই খালটি খননের ব্যবস্থা করি। এই খালটি খনন হরে এলাকার শতশত কৃষক অনেক উপকৃত হবে। কিন্তু খনন শুরু হওয়ার পরে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি খনন কাজ বন্ধ করে দেয়। এর ফলে এলাকার জনগণ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।অতিদ্রুত এই খালটি খনন করার দাবি জানান তিনি।
বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিপন চন্দ্র দাস বলেন, এলাকার মানুষের উপকারের জন্যই খাল খনন হচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টি মৌসুমে ভেকু (স্কাভেটর) দিয়ে খাল খননের ফলে স্থানীয় অনেক মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। গাছপালা ও রাস্তা ধ্বংস করে ভ্যাকু চালাচ্ছে। খাল খননের ফলে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, তারাই কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।