বাগেরহাট সদর উপজেলার চিন্তারখোর গ্রামের এসপিসি কাফুরপুরা কলেজিয়েট স্কুলের আইসিটি শিক্ষক খান আইয়ুব আলী (৪৮) ও তার স্ত্রী মনিরা বেগমকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।হামলার শিকার ওই দম্পতি বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় বাগেরহাট মডেল থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে শিক্ষক দম্পতির উপর হামলার ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে শিক্ষক দম্পতির উপরে বর্বরোচিত হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।আহত শিক্ষক খান আইয়ুব আলী বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সভাপতি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষক খান আইয়ুব আলী বলেন, দুই বছর আগে প্রতিবেশী মুরাদের কাছে আমাদের নিজস্ব সম্পত্তি লিজ দেই। কিন্তু কিছু টাকা বাকি রেখেই মুরাদ জমিতে মাছ চাষ শুরু করে।লিজের অবশিষ্ট টাকা চাইতে গেলে টাকা না দিয়ে উল্টো আমাকে গালিগালাজ করে এবং হুমকী দেয়। পরেরদিন শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ঘরের সামনে সিড়িতে বসে ছিলাম।
এসময় মুরাদ, নজরুল, মজবুল ও সহ কয়েকজন আমার ঘরের সামনে আসে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই রামদা দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে শুরু করে। এসময় আমার স্ত্রী ঠেকাতে আসলে তাকেও মারধর করে এবং কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে আমরা অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে ওরা চলে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাদেরকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আমি হামলাকারীদের বিচার চাই।
তিনি আরও বলেন, জোট সরকারের আমলে এলাকার জামায়াত-বিএনপির ক্যাডারদে অত্যাচারে বাড়ি ছেড়ে যাত্রাপুর এলাকায় ভাড়া থাকা শুরু করি। করোনা পরিস্থিতিতে এসপিসি কাফুরপুরা কলেজিয়েট স্কুলের পাশেই নিজ বাড়িতে ফিরে যাই।বাড়িতে বসবাস শুরু করায় আবারও ওই চক্রটি ক্ষিপ্ত হয় আমার উপর।
আহত মনিরা বেগম বলেন মধ্যযুগীয় কায়দায় আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে। আমার তিন সন্তানের চিৎকারে মন গলেনি হামলাকারীদের। আল্লাহেই আমাদের বাচিয়েছেণ। মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই ওরা এভাবে কুপিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাহতাব উদ্দিন বলেন, শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।