ঢাকা ০১:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আক্কেলপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন পবিত্র রমজান সকল মুসলমানের জন্য নেয়ামত হিসেবে আল্লহ ফরজ করেছেন – সাইফুজ্জামান শিখর এমপি প্রেমিকের সাথে বিয়ে না দেওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা সুন্দরগজ্ঞে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উৎযাপন সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে উধাও তোলপাড় তানোর রাণীশংকৈলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উপহার পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী জিয়া ছিলেন মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর: তথ্যমন্ত্রী দৌলতপুরে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত রাণীশংকৈলে জোরপূর্বক জমি দখল ও ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে আদিবাসিদের বিরুদ্ধে

বাগেরহাটে সরকারি ঘর দেওয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

বাগেরহাটের চিতলমারীতে সরকারি ঘর দেওয়ার না করে হতদরিদ্রদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। দুই বছরেও ঘর না পেয়ে ওই পরিবারের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় উল্টো তাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। তবে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা বলছেন, তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সন্তোষপুর ইউনিয়নের দড়িউমাজুড়ি গ্রামের সংকর হীরা, সুনীত রায়, বলাই হীরা, বীমলসহ আরও অনেকে বলেন,প্রধানমন্ত্রী ঘর দিবে বলে এমন আশ্বাস দিয়ে বলে ঘর পেতে ৫ হাজার টাকা লাগবে। হাতে নগদ টাকা থাকায় সুদে টাকা এনে মেম্বরকে দেই। দুই বছর হয়ে গেছে ঘরও পাইনি, টাকাও ফেরত পাইনি। দুই বছরে ৫ হাজার টাকায় প্রায় আড়াই হাজার টাকা সুদ দিয়েছি। মেম্বরের কাছে টাকা চাইতে গেলে গালিগালাজ করে। মেরে ফেলার হুমকী দেয়।

৫ নং ওয়ার্ডের হত দরিদ্র চারুলতা শিকদার ও কাজল মন্ডল বলেন, বছর দুয়েক আগে ইউপি সদস্য শ্রীবাস রায় আসেন আমাদের কাছে। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঘর আসছে তোমাদের ঘর দেওয়া হবে। কিন্তু ঘর পেতে টাকা লাগবে। আমাদের কাছে ৬ হাজার টাকা চায়। সব টাকা জোগার করতে পারিনি। ওই সময় ৫ হাজার ২‘শ টাকা দিয়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত ঘর পাইনি। আর মেম্বরের কাছে টাকা চাইতে গেলে আেেজ কথা বলে এলাকা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকী দেয়।

এবিষয়ে ইউপি সদস্য হরেন্দ্র নাথ শিকদার বলেন, তারা যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন। আমি আগামীতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করব তাই কিছু কুচক্রীমহল এসব অপপ্রচার করছেন।

৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শ্রীবাস রায় তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্বে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মারুফুল আলম বলেন, সন্তোষপুর ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নং ওয়াডের্র ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উভয় পক্ষকে নোটিশ করেছি। অভিযোগ প্রমানিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নং ওয়াডের্র ইউপি সদস্য হরেন্দ্র নাথ শিকদার ও শ্রীবাস দরিদ্রদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

দড়িউমাজুড়ি উত্তর ও দক্ষিনপাড়ার দুই শতাধিক অসহায়দের কাছ থেকে ৫’ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অধিকাংশ হতদরিদ্ররা সুদে টাকা এনে এখন বিপাকে পড়েছে। তারা ও ঘর নির্মান না হয় টাকা ফেরত চাইতে গেলে উল্টো হুমকি দেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্যেরা।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কোন উপায়ন্ত না পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক ও চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে দরিদ্র ভুক্তভোগীরা।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

আক্কেলপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

বাগেরহাটে সরকারি ঘর দেওয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় : ১১:০৯:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০

বাগেরহাটের চিতলমারীতে সরকারি ঘর দেওয়ার না করে হতদরিদ্রদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। দুই বছরেও ঘর না পেয়ে ওই পরিবারের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় উল্টো তাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। তবে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা বলছেন, তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সন্তোষপুর ইউনিয়নের দড়িউমাজুড়ি গ্রামের সংকর হীরা, সুনীত রায়, বলাই হীরা, বীমলসহ আরও অনেকে বলেন,প্রধানমন্ত্রী ঘর দিবে বলে এমন আশ্বাস দিয়ে বলে ঘর পেতে ৫ হাজার টাকা লাগবে। হাতে নগদ টাকা থাকায় সুদে টাকা এনে মেম্বরকে দেই। দুই বছর হয়ে গেছে ঘরও পাইনি, টাকাও ফেরত পাইনি। দুই বছরে ৫ হাজার টাকায় প্রায় আড়াই হাজার টাকা সুদ দিয়েছি। মেম্বরের কাছে টাকা চাইতে গেলে গালিগালাজ করে। মেরে ফেলার হুমকী দেয়।

৫ নং ওয়ার্ডের হত দরিদ্র চারুলতা শিকদার ও কাজল মন্ডল বলেন, বছর দুয়েক আগে ইউপি সদস্য শ্রীবাস রায় আসেন আমাদের কাছে। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঘর আসছে তোমাদের ঘর দেওয়া হবে। কিন্তু ঘর পেতে টাকা লাগবে। আমাদের কাছে ৬ হাজার টাকা চায়। সব টাকা জোগার করতে পারিনি। ওই সময় ৫ হাজার ২‘শ টাকা দিয়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত ঘর পাইনি। আর মেম্বরের কাছে টাকা চাইতে গেলে আেেজ কথা বলে এলাকা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকী দেয়।

এবিষয়ে ইউপি সদস্য হরেন্দ্র নাথ শিকদার বলেন, তারা যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন। আমি আগামীতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করব তাই কিছু কুচক্রীমহল এসব অপপ্রচার করছেন।

৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শ্রীবাস রায় তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্বে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মারুফুল আলম বলেন, সন্তোষপুর ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নং ওয়াডের্র ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উভয় পক্ষকে নোটিশ করেছি। অভিযোগ প্রমানিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নং ওয়াডের্র ইউপি সদস্য হরেন্দ্র নাথ শিকদার ও শ্রীবাস দরিদ্রদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

দড়িউমাজুড়ি উত্তর ও দক্ষিনপাড়ার দুই শতাধিক অসহায়দের কাছ থেকে ৫’ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অধিকাংশ হতদরিদ্ররা সুদে টাকা এনে এখন বিপাকে পড়েছে। তারা ও ঘর নির্মান না হয় টাকা ফেরত চাইতে গেলে উল্টো হুমকি দেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্যেরা।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কোন উপায়ন্ত না পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক ও চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে দরিদ্র ভুক্তভোগীরা।