ঢাকা ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

বোনের মৃত্যুর জন্য আহ্সানিয়া মিশনকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ

নিজ কর্মস্থল দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের কাছে পাওনা পাঁচ লাখ টাকার ওপরে। অথচ বোনটা যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে চলে গেলেন পরপারে। ছোটবোন ইত্তেফাকের স্টাফ ফটো সাংবাদিক রেহানা আক্তারের মৃতুশোকে মূহ্যমান ভাই আলোকিত বাংলাদেশের স্টাফ ফটো সাংবাদিক ফোজিত শেখ বাবু প্রতিবাদ জানাতে মঙ্গলবার ব্যানার হাতে দাঁড়িয়েছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। সঙ্গে ছিলো রেহানার মাসুম দুই কন্যাশিশু। ঠিক আগের দিন সোমবার মারা যান বোন রেহানা।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে ভাই ফোজিত শেখ বাবু সাংবাদিকদের বলেন, আমার কর্মস্থল আলোকিত বাংলাদেশের কাছে আমি পাঁচ লাখ ৯৪ হাজার ৪১৬ টাকা পাই। অথচ আমার বোনের চিকিৎসা ভালভাবে হলো না। একজন ভাই হিসেবে এটা কতটা বেদনার বলে বোঝাতে পারব না। রেহানাকে আমি মানুষ করেছি। ওর চিরতরে চলে যাওয়ার আগে যদি চিকিৎসাটা ভালভাবে করাতে পারতাম তবুও স্বান্তনা পেতাম।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট আলোকিত বাংলাদেশের সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী রফিকুল আলমের কাছে বহু অনুনয়-বিনয় করেছি টাকার জন্য। অথচ মানবিক প্রতিষ্ঠানের দাবিদার রফিকুল আলমের কাছে আমার অনুনয়-বিনয়-আবেদন-নিবেদন কোনো অর্থই তৈরি করতে পারেনি।

আমি এটাও বলেছিলাম যে আপনারা তো ক্যান্সার হাসপাতাল চালান। আমার বোনের কেমোথেরাপি দিতে হবে। এটা আপনাদের হাসপাতাল থেকেই দেন। আমার পাওনা থেকে কেটে নেবেন। সেটাও কাজী রফিকুল আলম শোনেননি। আজ আমার বোন সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে গেছে। বলে চিৎকার করে কাঁদতে থাকেন দেশে বিদেশে বহু সফল প্রদর্শনী করা ফটো সাংবাদিক ফোজিত শেখ বাবু।

প্রতিবাদ কর্মসূচী চলাকালে ফোজিত শেখ বাবু সাংবাদিকদের কিছু কাগজপত্র সরবরাহ করেন। দেখা যায়, পাওনা নিষ্পত্তির জন্য তিনি আলোকিত বাংলাদেশের সম্পাদক ও প্রকাশক বরাবর প্রথম চিঠি দেন চলতি বছরের ২৬ মার্চ। চিঠি কর্তৃপক্ষ রিসিভ করে নিলেও কোনো জবাব পাননি ফোজিত শেখ বাবু। তারপর চিঠি দেন ৭ এপ্রিল। এরপরও লা জবাব কর্তৃপক্ষ। তারপর ২২ মে আরেকটি চিঠি দেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো জবাব দেননি।

সম্প্রতি ধানমন্ডি থানায় আলোকিত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদ আনোয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এক সপ্তাহের মধ্যে ফোজিত শেখ বাবুর সমস্ত পাওনা পরিশোধ করে দেবেন।

তারপর দুই সপ্তাহ পার হতে চললেও র্কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদ আনোয়ার হোসেন ফোজিত শেখ বাবুর ফোন ধরাই বন্ধ করে দেন। আর কাজী রফিকুল আলম তো আগেই ফোজিত শেখ বাবুর ফোন ধরা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

ফটো সাংবাদিক ফোজিত শেখ বাবু প্রতিবাদ কর্মসূচী থেকে দাবি জানান, তার সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচার করতে হবে। আর মানবিক প্রতিষ্ঠানের কথা বলে টাকার পাহাড় গড়া ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনে প্রশাসক বসানোর জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি। তার মতে, প্রশাসক বসালেই এই প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে। খুলে পড়বে মানবিকতার মুখোশ।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

বোনের মৃত্যুর জন্য আহ্সানিয়া মিশনকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ

আপডেট সময় : ০৭:৪৯:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০

নিজ কর্মস্থল দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের কাছে পাওনা পাঁচ লাখ টাকার ওপরে। অথচ বোনটা যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে চলে গেলেন পরপারে। ছোটবোন ইত্তেফাকের স্টাফ ফটো সাংবাদিক রেহানা আক্তারের মৃতুশোকে মূহ্যমান ভাই আলোকিত বাংলাদেশের স্টাফ ফটো সাংবাদিক ফোজিত শেখ বাবু প্রতিবাদ জানাতে মঙ্গলবার ব্যানার হাতে দাঁড়িয়েছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। সঙ্গে ছিলো রেহানার মাসুম দুই কন্যাশিশু। ঠিক আগের দিন সোমবার মারা যান বোন রেহানা।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে ভাই ফোজিত শেখ বাবু সাংবাদিকদের বলেন, আমার কর্মস্থল আলোকিত বাংলাদেশের কাছে আমি পাঁচ লাখ ৯৪ হাজার ৪১৬ টাকা পাই। অথচ আমার বোনের চিকিৎসা ভালভাবে হলো না। একজন ভাই হিসেবে এটা কতটা বেদনার বলে বোঝাতে পারব না। রেহানাকে আমি মানুষ করেছি। ওর চিরতরে চলে যাওয়ার আগে যদি চিকিৎসাটা ভালভাবে করাতে পারতাম তবুও স্বান্তনা পেতাম।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট আলোকিত বাংলাদেশের সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী রফিকুল আলমের কাছে বহু অনুনয়-বিনয় করেছি টাকার জন্য। অথচ মানবিক প্রতিষ্ঠানের দাবিদার রফিকুল আলমের কাছে আমার অনুনয়-বিনয়-আবেদন-নিবেদন কোনো অর্থই তৈরি করতে পারেনি।

আমি এটাও বলেছিলাম যে আপনারা তো ক্যান্সার হাসপাতাল চালান। আমার বোনের কেমোথেরাপি দিতে হবে। এটা আপনাদের হাসপাতাল থেকেই দেন। আমার পাওনা থেকে কেটে নেবেন। সেটাও কাজী রফিকুল আলম শোনেননি। আজ আমার বোন সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে গেছে। বলে চিৎকার করে কাঁদতে থাকেন দেশে বিদেশে বহু সফল প্রদর্শনী করা ফটো সাংবাদিক ফোজিত শেখ বাবু।

প্রতিবাদ কর্মসূচী চলাকালে ফোজিত শেখ বাবু সাংবাদিকদের কিছু কাগজপত্র সরবরাহ করেন। দেখা যায়, পাওনা নিষ্পত্তির জন্য তিনি আলোকিত বাংলাদেশের সম্পাদক ও প্রকাশক বরাবর প্রথম চিঠি দেন চলতি বছরের ২৬ মার্চ। চিঠি কর্তৃপক্ষ রিসিভ করে নিলেও কোনো জবাব পাননি ফোজিত শেখ বাবু। তারপর চিঠি দেন ৭ এপ্রিল। এরপরও লা জবাব কর্তৃপক্ষ। তারপর ২২ মে আরেকটি চিঠি দেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো জবাব দেননি।

সম্প্রতি ধানমন্ডি থানায় আলোকিত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদ আনোয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এক সপ্তাহের মধ্যে ফোজিত শেখ বাবুর সমস্ত পাওনা পরিশোধ করে দেবেন।

তারপর দুই সপ্তাহ পার হতে চললেও র্কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদ আনোয়ার হোসেন ফোজিত শেখ বাবুর ফোন ধরাই বন্ধ করে দেন। আর কাজী রফিকুল আলম তো আগেই ফোজিত শেখ বাবুর ফোন ধরা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

ফটো সাংবাদিক ফোজিত শেখ বাবু প্রতিবাদ কর্মসূচী থেকে দাবি জানান, তার সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচার করতে হবে। আর মানবিক প্রতিষ্ঠানের কথা বলে টাকার পাহাড় গড়া ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনে প্রশাসক বসানোর জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি। তার মতে, প্রশাসক বসালেই এই প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে। খুলে পড়বে মানবিকতার মুখোশ।