ভোলা বোরহানউদ্দিন বড়মানিকা ইউনিয়নের মো. ইদ্রিস হাওলাদার (৫৮) এর স’মিল দখলের পায়তারা করছে একই এলাকার মো. হারুন ফরাজী গংরা। এ ঘটনায় ভোলা কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মো. ইদ্রিস হাওলাদার দক্ষিণ বাটামারা মৌজায় এস.এ ৩৮৫ খতিয়ানে ১২৩০ দাগে মৃত এছাক এর ওয়ারিশ হতে ১২ শতাংশ এবং মো. হারুন ফরাজী গ্রুপ গিয়াস উদ্দিনের কাছে বিক্রিত ০৮ শতাংশ জমি ক্রয় সহ মোট ২০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ওই জমিতে ইদ্রিস হাওলাদার স’মিল তৈরি করে দীর্ঘ দিন ব্যবসা করে আসছে। গত দুই বছর যাবত মো. হারুন ফরাজী, নজরুল ফরাজী, হাবিবুল্লাহ ফরাজী, জসিম ফরাজী ও হান্নান ফরাজী ওই স’মিলে মধ্যে জমি পাওয়ার মিথ্যা অজুহাতে ইদ্রিস হাওলাদারকে স’মিল হতে উৎখাত সহ বিভিন্ন ক্ষতিসাধন করার নানা ষড়যন্ত্র করেন।
এতে ইদ্রিস হাওলাদার ৬-১০-২০১৯ সালে একটি জি.আর মামলা দায়ের করেন। যার নং ২৩৩। ওই মামলা তার পক্ষে চার্জসিট হওয়ায় বিবাদীগ্রুপ তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং ইদ্রিস হাওলাদারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো সহ হুমকি দুমকি প্রদান করেন। হুমকি দুমকি’র ঘটনায় বোরহানউদ্দিন থানা একটি জিডি করেন ইদ্রিস হাওলাদার। যার নং ৪৭ তারিখ: ১-৩-২০২০ ইং। এরপর থেকে তারা তাকে হুমকি দুমকি সহ স’মিল দখলের পায়তারা অব্যাহত রাখেন। কোন উপায় না পেয়ে মো. হারুন ফরাজী গংরা নতুন এক কৌশল আকছেন। ওই খতিয়ান হতে ৮ শতাংশ জমি মসজিদ কে দলিল দেন। ওই খতিয়ানে এছাক ও হারুন গ্রুপের অনেক জমি রয়েছে। ওই জমি দলিল দিয়ে এখন হারুন গংরা বলেন এটা মসজিদের জমি। এদিকে ইদ্রিস হাওলাদারের মামলা কোর্টে চলমান রয়েছে।
এব্যাপারে ইদ্রিস হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, ওরা আমার স’মিলের দিকে কু-নজর দিয়েছে। আমি সঠিক ভাবে জমি ক্রয় করে দীর্ঘ দিন ভোগ দখল করে আসছি। আমাকে ওরা নানা ভাবে ক্ষতিসাধন করছে এবং আমাকে বিভিন্ন হুমকি দুমকি দিচ্ছে। যে কোন উপায় তারা আমার স’মিল জবর দখলের পায়তারা করছে।
এখন শুনছি ওরা নাকি আমাকে ক্ষতি করতে নতুন কৌশল করছে। ওই খতিয়ান হতে মসজিদে জমি দিয়ে আমার সাথে নতুন ভাবে ঝামেলা করছে। ওই খতিয়ানে তাদের আরোও জমি রয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দার সাহেব শালীশ বিচার করেন। কিন্তু ওই গ্রুপ কিছু মানছে না।ওরা আমাকে ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্য বিভিন্ন হুমকি দুমকি দিচ্ছে। আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এব্যাপারে মো. হারুন ফরাজী’র সাথে আলাপকালে তিনি তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা ওয়ারিশ ও দলিল সূত্রে মালিক। শালীস বিচারের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাগজ পত্র না দেখে শালীস করলে কি হবে।