সারা দেশের মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও পদটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ।পাবলিক সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার পর খুব অল্প সময়ে এই পদে অধিষ্ঠিত হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার গন।
সম্প্রতি সারাদেশে ইউএনওদের কর্মকান্ড বেশ আলোচিত সমালোচিত হয়েছে।এদের মধ্যে বান্দরবান জেলার আলী কদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেবুবা ইসলাম প্রকাশ্যে খেলার ট্রফি ভেঙ্গে আলোচনায় এসেছেন।এ কারনে তাকে প্রমোশন দিয়ে ঢাকায় আনা হয়েছে।
স্ত্রীর সাথে ঝগড়া, ফলে আনসার সদস্যকে দিয়ে কর্মচারীকে ডেকে এনে লাঠি পেটা করে হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সমর কুমার পাল। ঘটনাটি সারা দেশে বেশ আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।
অপরজন কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার দেব শর্মা তার বিরুদ্ধে প্রশ্ন পত্র ফাসের অভিযোগ ওঠেছে।
এছাড়াও অভিযোগের তীর ওঠে এসেছে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও কামরুজ্জামান নয়নের বিরুদ্ধে। তিনি যোগদানের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকার প্রকল্প বাস্তবায়ন, তালিকা প্রনয়ন,ও ঘড় হস্তান্তরে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় গ্রহন করেছেন।তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই।অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন, ঘড় তৈরি না করে সরকারি কোষাগার থেকে টাকা উত্তোলন,অপরিকল্পিত ভাবে মুক্ত মঞ্চ নির্মানে অনিয়ম, আশ্রয়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত টিআর কাবিখা প্রকল্প কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ এছাড়াও নিজের ইচ্ছে খেয়াল খুশি মত সরকারি দপ্তর চালানোসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে এই ইউএনওর বিরুদ্ধে।
সরকারের মাঠ প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা হয়ে কতিপয় ইউএনওরা নিজেদের সর্বসর্বা ভাবতে শুরু করেছেন।নিজেদের খেয়াল খুশি মত যা ইচ্ছে তাই করছেন, এখানে জনপ্রতিনিধিদের মুল্যায়ন ওল নেই বললেই চলে।
গনতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে কতিপয় ইউএনওরা নিজেদের নবাবজাদা ভাবতে শুরু করেছেন।তারা ভুলে গেছেন যে তারা জনগনের সেবক,প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী,তাদের বেতন হয় জনগনের টাকায়। সব কিছু ভুলে গিয়ে তারা নিজেদের শাসক ভাবতে শুরু করেছে।
অবিলম্বে এসব ইউএনওদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা না হলে পাবলিক সার্ভিস কমিশন অনেকটা ব্যার্থ বলে মনে করে রাষ্ট্রের সচেতন জনগন।
(সংবাদটি জনস্বার্থ সংরক্ষিত আইনের অধিভুক্ত)