শিশুরা এমনিতেই নতুন কিছু পেলে, দেখলে আনন্দ পায়। আনন্দের এই মাত্রা আরও বেড়ে যায় যখন তারা হাতে পায় নতুন বই। বছরের প্রথম দিন তাদের মধ্যে একটা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করে। আগামী দিনের পথ চলায় বই উৎসবকে কেন্দ্র করেই দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী শিক্ষার মূলধারায় যুক্ত হয়েছে। নতুন বইয়ের সঙ্গে স্কুল ড্রেস, উপবৃত্তি ও মিড-ডে মিলের মতো উৎসাহব্যঞ্জক সুযোগ-সুবিধা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার একান্তই নিজস্ব ধ্যান-ধারণার বহিঃপ্রকাশ।
একটি শিশুও অশিক্ষিত থাকবে না, থাকবে না না খেয়ে, শিক্ষিত হয়ে আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে গড়ে উঠবে, ডিজিটাল সোনার বাংলা তৈরি করবে ইত্যাদি এই জননীরই কথা। রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশের আগামী প্রজন্মকে সেভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা। এ বছরও আয়োজনের কোনো কমতি নেই। যুদ্ধ চলমান থাকলেও কাগজ, কাঁচামাল, ডলার ও বিদ্যুত সংকটের প্রতিকূলতা কাটিয়ে নতুন দিনে, নতুন বই পাওয়ার অপেক্ষায় এখন দেশের সকল শিক্ষার্থী। সেই আনন্দই দিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সুলতানা নাদিরা এমপি শিশুদের হাতে বই তুলে দিলেন।
সংকট আছে, সংকট থাকবে, তারপরেও আগামী প্রজন্ম নিষ্পাপ শিশুদের মুখের অনাবিল হাসির দিকে তাকিয়ে বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণের এই মহাউৎসব যে কোনো মূল্যে অব্যাহত রাখতে হবে।
বাংলাদেশের মানুষ সকল সময়ের চেয়ে বর্তমান শেখ হাসিনার শাসন আমলে ভাল আছে, ভাল নেই যারা দেশের মধ্যে থেকে পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখেন তারা। মধুমতি স্কুলে আয়োজিত নতুন বই প্রদান অনুষ্ঠান শেষে ছাত্র ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে সুলতানা নাদিরা এমপি এ কথা বলেন।
সংসদ সদস্য বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি খুবই অসুবিধায় আছে। তাদের কাছে বাংলাদেশের উন্নয়ন বড় পীড়া দিচ্ছে তাই বার বার ষড়যন্ত্র করে দেশকে অস্থিতিশীল করে গোপন পথে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা জানেনা শেখ হাসিনার সাথে দেশের জনগন রয়েছে। তিনি বলেন আন্দোলনের নামে জালাও পোড়াও এর রাজনীতি দেশের জনগন আর করতে দেবেনা। তিনি জানান শিশুদের মনে জাগ্রত করতে হবে বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন সম্পর্কে। শিশুদের প্রশ্ন করতে হবে কে দিয়েছেন বই?
বই বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাছ্ছানা নাদিরা সবুর, সভাপতি মধুমতি আইডিয়াল স্কুল, গোলাম কিবরিয়া পিয়ার, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, মোঃ আহসান হাবীব, সভাপতি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, মোঃ রফিকুল ইসলাম কাকন, কাউন্সিলর, কবি মো. ইদ্রিস আলী, অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান জুয়েল, অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন সোহাগ, আহম্মেদ সুজন, সম্পাদক, পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগ।