মাগুরা সদর উপজেলা আঠারোখাদা ইউনিয়নে অক্কুরপাড়া এলাকায় মঙ্গলবার সকালে প্রেমিকার বাড়ির অদুরে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা সুদিপ্ত ওরফে ধলা কর্মকার (২০) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রেম ঘটিত কারনে সুদিপ্তকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নিহতের পরিবার। এ ঘটনায় সঞ্জয় নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মৃত সুদিপ্তের পরিবার ও প্রতিবেশিরা জানান, আক্কুর পাড়া গ্রামের দরিদ্র বরুন কর্মমকারের ছেলে কাঠমিস্ত্রি ধলার সাথে গ্রামের প্রতিবেশি এক মেয়ের দীর্ঘদিন প্রেম চলে আসছিল। কিছুদিন আগে বিষয়টি নিয়ে মেয়ের পরিবারের লোকেরা ধলার পরিবারকে হুমকি ধামকিসহ ধলাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সম্প্রতি সে মেয়ের অন্যত্র বিয়ের আশির্বাদ হয়ে যায়। এ অবস্থায় কদিন যাবৎ মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলো ধলা। এ অবস্থায় আজ ভোরে মেয়েটির বাড়ির অদুরে রাস্তার ধারে পড়ে থাকা ধলার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তার নিহতের এ ঘটনা রহস্যজনক হত্যাকান্ড না আত্বহত্যা সেটি নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে নানা রকম গুঞ্জন চলছে।
নিহতের চাচা অরুন কর্মকার অভিযোগ করে জানান, তার ভতিজা ধলার সাথে প্রতিবেশির বাড়ির একটা মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে প্রেমিকার চাচাতো ভাই উজ্বল ও প্রেমিক সুদিপ্ত কর্মকারের মধ্যে কয়েকবার বাকবিতণ্ডা হয় সম্প্রতি তাকে মৃত্যুর হুমকিও দেয় উজ্বল বাড়ই। এর মধ্যে মেয়েরটি অনত্র বিয়েও ঠিক করে তার পরিবার।
তিনি আরো বলেন, গতকাল সোমবার রাতে প্রতিবেশি সঞ্জয় এসে তার ভাতিজাকে ডেকে নিয়ে যায়। রাত্রে আর বাড়ি ফিরে আসেনি সে। সকালে সেই মেয়েটির বাড়ির পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশিরা খবর দেয়। খবর পেয়ে তারা ধলাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। মৃত্যু দেহের অদুরে একটি বাশ ঝাড়ে ধলার স্যান্ডেল ও একটি বিষের ঔষুদের বোতল পাওয়া যায়। কিন্তু তার মুখে বিষ পান করার মতো গন্ধ বা কোন উপসর্গ পাওয়া যায়নি। পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ ঘটনায় মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সাইদুর রহমান জানান, অক্কুর পাড়া গ্রামে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ পাওয়া গেছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই গ্রামের সঞ্জয় নামে এক ব্যেক্তিকে আটক করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তি আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।