ঢাকা ০১:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আক্কেলপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন পবিত্র রমজান সকল মুসলমানের জন্য নেয়ামত হিসেবে আল্লহ ফরজ করেছেন – সাইফুজ্জামান শিখর এমপি প্রেমিকের সাথে বিয়ে না দেওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা সুন্দরগজ্ঞে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উৎযাপন সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে উধাও তোলপাড় তানোর রাণীশংকৈলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উপহার পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী জিয়া ছিলেন মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর: তথ্যমন্ত্রী দৌলতপুরে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত রাণীশংকৈলে জোরপূর্বক জমি দখল ও ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে আদিবাসিদের বিরুদ্ধে

মাদক ব্যবসায়ী ইউপি সদস্যকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

বাগেরহাটের চিতলমারীতে বিধবার জমি দখলের প্রতিবাদ ও আওয়ামী লীগ নেতা দিপুল শেখ হত্যা মামলার আসামী মাদক ব্যবসায়ী ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার (১১ জুলাই) দুপুরে চিতলমারী উপজেলার পরানপুর গ্রামে ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধনে দুই শতাধিক এলাকাবাসী অংশ নেয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড (পরানপুর) আওয়ামী লীগের সভাপতি ফখরুল আলম, মৃত হানিফ শেখের স্ত্রী হাওয়া বেগম, আওয়ামী লীগ নেতা মৃত দিপুল শেখের ছেলে আল আমিন শেখ, স্ত্রী কামনা বেগম, দিপুলের ভাই মোঃ বাবুল শেখ, ফরিদ শেখ, স্থানীয় নোমান শেখ, এসএম সুমনসহ আরও অনেকে।

বক্তারা বলেন, মিজানুর রহমান একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এমন কোন অপরাধ নেই যা তিনি করেননি। ৮ই এপ্রিল মিজানুর রহমান ও তার লোকেরা হামলা চালিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক দিপুল শেখকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এলাকার অনেকেরই জমি দখল করেছে এই মিজান ও তার বাহিনী। থানায় হত্যা, মাদক, জমিদখলসহ কয়েকটি মামলা থাকলেও মিজানকে আটক করে না পুলিশ। মিজানের দাপটে স্থানীয়রা সব সময় আতঙ্কিত থাকেন। মিজানকে আটক করে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তারা।

হত্যার শিকার আওয়ামী লীগ নেতা দিপুল শেখের ছেলে আল আমিন শেখ বলেন, ৮ এপ্রিল মাগরিবের সময় মিজান ও তার লোকেরা আমার বাবার উপর হামলা করে। পরে রাতেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার পিতা মারা যায়। আমরা হত্যা মামলা করলেও পুলিশ মিজান মেম্বরকে আটক করেনি। বরং মিজান আমাদেরকে হুমকী ধামকি দিচ্ছে মামলা তুলে নিতে।

বিধবা হাওয়া বেগম বলেণ, মিজান মেম্বর ও তার লোকেরা জোর করে আমার বাড়ির ১৭ শতক জমি দখল করে নিয়েছে। আমি জমিতে আসতে পারিনা। জমিতে আসলে আমাকে মেরে ফেলবে। আমি থানা পুলিশকে জানালেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি তারা। আমি আমার জমি ফেরত চাই। এই অত্যাচারীর হাত থেকে বাঁচতে চাই। শুধু আমার নয় এলাকার অনেকের জমি দখল করেছে মিজান মেম্বর। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না।

চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরিফুল হক বলেণ, মামলার পর থেকে মিজান পলাতক রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি তাকে আটকের জন্য।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

আক্কেলপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

মাদক ব্যবসায়ী ইউপি সদস্যকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৬:১৬:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০

বাগেরহাটের চিতলমারীতে বিধবার জমি দখলের প্রতিবাদ ও আওয়ামী লীগ নেতা দিপুল শেখ হত্যা মামলার আসামী মাদক ব্যবসায়ী ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার (১১ জুলাই) দুপুরে চিতলমারী উপজেলার পরানপুর গ্রামে ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধনে দুই শতাধিক এলাকাবাসী অংশ নেয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড (পরানপুর) আওয়ামী লীগের সভাপতি ফখরুল আলম, মৃত হানিফ শেখের স্ত্রী হাওয়া বেগম, আওয়ামী লীগ নেতা মৃত দিপুল শেখের ছেলে আল আমিন শেখ, স্ত্রী কামনা বেগম, দিপুলের ভাই মোঃ বাবুল শেখ, ফরিদ শেখ, স্থানীয় নোমান শেখ, এসএম সুমনসহ আরও অনেকে।

বক্তারা বলেন, মিজানুর রহমান একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এমন কোন অপরাধ নেই যা তিনি করেননি। ৮ই এপ্রিল মিজানুর রহমান ও তার লোকেরা হামলা চালিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক দিপুল শেখকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এলাকার অনেকেরই জমি দখল করেছে এই মিজান ও তার বাহিনী। থানায় হত্যা, মাদক, জমিদখলসহ কয়েকটি মামলা থাকলেও মিজানকে আটক করে না পুলিশ। মিজানের দাপটে স্থানীয়রা সব সময় আতঙ্কিত থাকেন। মিজানকে আটক করে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তারা।

হত্যার শিকার আওয়ামী লীগ নেতা দিপুল শেখের ছেলে আল আমিন শেখ বলেন, ৮ এপ্রিল মাগরিবের সময় মিজান ও তার লোকেরা আমার বাবার উপর হামলা করে। পরে রাতেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার পিতা মারা যায়। আমরা হত্যা মামলা করলেও পুলিশ মিজান মেম্বরকে আটক করেনি। বরং মিজান আমাদেরকে হুমকী ধামকি দিচ্ছে মামলা তুলে নিতে।

বিধবা হাওয়া বেগম বলেণ, মিজান মেম্বর ও তার লোকেরা জোর করে আমার বাড়ির ১৭ শতক জমি দখল করে নিয়েছে। আমি জমিতে আসতে পারিনা। জমিতে আসলে আমাকে মেরে ফেলবে। আমি থানা পুলিশকে জানালেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি তারা। আমি আমার জমি ফেরত চাই। এই অত্যাচারীর হাত থেকে বাঁচতে চাই। শুধু আমার নয় এলাকার অনেকের জমি দখল করেছে মিজান মেম্বর। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না।

চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরিফুল হক বলেণ, মামলার পর থেকে মিজান পলাতক রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি তাকে আটকের জন্য।