সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের লকডাউনের সময় দুঃস্থ অসহায় অচ্ছল মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা পৌরসভার আ”লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তরুণ উদীয়মান বিশিষ্ট ঠিকাদার জেলার সেরা করদাতা সাইদুর রহমান পৌরবাসির হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।
তাঁর উদ্দ্যগে নানা ধরনের সভা অনুষ্ঠিত হয় মুণ্ডুমালা বাজারে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ে। তিনি যেন দলের এক নিবেদিত প্রান। তাইতো পৌরবাসি বলা শুরু করেছেন মুণ্ডুমালা আ”লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নিবেদিত এক ব্যাক্তির নাম সে হল সাইদুর রহমান। তিনি নিজের অর্থ খরচ করে নানা ধরনের সামাজিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য প্রবীণ নবীনদের কাছে এক আস্থার মানুষ হয়ে উঠেছেন।
সে একজন এমন ব্যাক্তি যার তুলনাই হয়না এমন কথায় উঠে এসেছে পৌরবাসির সাথে কথা বলে। বিশেষ করে করোনার সময় সর্ব সাধারনের মাঝে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে উপজেলা জুড়ে চমক লাগিয়ে দেন। কারন তিনিই একমাত্র ব্যাক্তি যে নিজের অর্থ খরচ করে পৌরবাসির ঘরেঘরে পৌছে দিয়েছেন সাধ্যমত খাবার সামগ্রী। এজন্য পৌরসভার সর্ব শ্রেণীর মানুষ আগামী দিনের মুণ্ডুমালা পৌর মেয়র হিসেবে দেখতে চাইলেও, তাঁর মধ্যে এমন কোন চিন্তা চেতনা দেখা যায়নি।
জানা গেছে, মহামারী করোনাভাইরাসের জন্য সরকার থেকে চলতি বছরের ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশ লকডাউন ঘোষণা করা হয়। লকডাউন ঘোষণার পর থেকে নিম্ম মধ্যবিত্তসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ চরম বিপাকে পড়ে। সরকারও লকডাউন থাকা অবস্থায় ব্যাপকহারে ত্রান সামগ্রী নগদ অর্থ শিশুদের জন্য আলাদা খাবার পর্যন্ত দেন। সরকার প্রধান দলীয় নেতাকর্মীদেরও নির্দেশ দেন সাধ্য মোতাবেক দরিদ্র ব্যাক্তি বা মধ্যবিত্ত যারা ত্রানের জন্য লাইনে দাড়াতে পারেনা এসব ব্যাক্তিদের ঘরেঘরে খাবার পৌছানোর জন্য দিক নির্দেশনা দেন।
আর ত্রানের ব্যাপারে কোন ধরণের দলবাজি করা যাবেনা বলেও হুশিয়ারি করে দেন। কিন্তু সরকারি ত্রান নিয়ে সরকারের নির্দেশ অমান্য করে তানোর উপজেলা জুড়েই চলেছে কোটা কোটা খেলা। এরা যখন কোটা কোটা খেলায় ব্যস্ত তখন মুণ্ডুমালা আ”লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান নিজের লাখ লাখ টাকা খরচ করে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে চালসহ নানা ধরনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। মুণ্ডুমালা পৌর এলাকার বাসিন্দা মমিন জানান ২৬ মার্চ থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত পৌর এলাকার এমন কোন পরিবার নেই যে যাদের কাছে সাইদুর রহমানের ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে খাদ্য সামগ্রী পৌছেনি। শুধু একবার না কয়েকবার করে দেয়া হয়েছে।
আমরা বেশ কয়েকজন পার্টি অফিসে রাতে প্যাকেট করতাম আর দিনে সেই সব বিতরণ করতাম।এমনকি ঈদের আনন্দ থেকে যাতে পৌর বাসি বঞ্চিত না হয় সেজন্য ঈদেও দেয়া হয়েছে ঈদ সামগ্রীসহ নতুন পোশাক। অপূর্ব নামের আরেকজন জানান সাইদুর মুণ্ডুমালা পৌরসভায় লাখ লাখ টাকার ত্রান সামগ্রী দিয়েছেন এবং রাজশাহী সিটি মেয়র খাইরুজ্জামান লিটনের ত্রান তহবিলে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন।
তিনি মুণ্ডুমালা সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে নয়নের মনি হয়ে আছেন। যে কোন মানুষ তাঁর কাছে আসলে সাধ্য মোতাবেক সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছেন। কোনদিন কোন ব্যাক্তিকে তিনি অপমান করেননি, ছোটদের স্নেহ বড়দের শ্রদ্ধা করে গেছেন।এমনকি মুণ্ডুমালা বাজারে দলীয় তিন তলা বিশিষ্ট কার্যালয় নিজ খরচে নির্মাণ করেছেন যা সদরেও নেই। সভা করার জন্য রয়েছে হলরুম।
এসব বিষয়ে মুণ্ডুমালা আ”লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমানের জানান ২০০৫ সালে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করি। আমার চিন্তায় ছিল কিভাবে বাজারে দলীয় কার্যালয় নির্মাণ করা যায়। সেই চিন্তা থেকেই বাজারে তিন তলা বিশিষ্ট দলীয় কার্যালয় নির্মাণ করেছে এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকার মত। সম্পূর্ণ টাকা আমি নিজেই খরচ করেছি।
আপনি এত ত্রান ঈদ সামগ্রীর সাথে নতুন পোশাক দিয়েছেন আগামীতে কি পৌর নির্বাচন করার জন্য এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তরে বলেন আসলে নির্বাচন করব এমন মানসিকতা নিয়ে ত্রান ঈদ সামগ্রী বিতরণ করিনি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ রতœ শেখ হাসিনার নির্দেশনা এবং আমার রাজনৈতিক অভিভাবক উপজেলা আ”লীগের সভাপতি মুণ্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানীর পরামর্শে এসব করেছি। তবে যখন রাজনীতি করি সবার একটা আসা আখাঙ্কা থাকে। পৌরবাসি এবং দল যদি চাই তাহলে নির্বাচন করার ইচ্ছে আছে। নির্বাচন না করলেও যেন মানুষের পাশে থাকতে পারি এটাই আমার রাজনৈতিক ইচ্ছা বা সাধনা।