কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার নাজিমখান বাজারে গত ২০জুন যমুনা টিভির কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি নাজমুল হোসেনসহ অপর দুই ক্যামেরা পারসনের উপর হামলা ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাজারহাট থানায় গত রোববার একটি এজাহার দায়েরের প্রেক্ষিতে সোহেল (৩৫) ও আক্কাছ (২৮) নামে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আজ সোমবার সকালে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাব সভাপতি আহসান হাবীব নীলু, সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান বিপ্লব, সফি খান প্রমুখ।
অভিযোগে জানা যায়, যমুনা টিভি কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি নাজমুল হোসেন, ক্যামেরা পারসন ভুবন কুমার শীল ও কবির হোসেন শনিবার সকালে রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ও নাজিমখান ইউনিয়নে ভাঙন কবলিত তিস্তা নদীর তথ্য সংগ্রহ করতে যান। দুপুর ২টার দিকে ফেরার পথে নাজিমখান ইউনিয়নের মনারকুটি মৌজাস্থ একটি ছ-মিলের সামনে পাকা রাস্তায় স্থানীয় লোকমুখে জানতে পারেন, একই এলাকার খলিলুর রহমান ও শামসুন্নাহার গং-এর মধ্যে জমিজমার বিরোধ নিয়ে সালিশ বৈঠক চলছিল।
সালিশ বৈঠক শেষে সকলেই রাস্তায় চলে আসে। ভীড় দেখে সেখানে সাংবাদিকরা দাঁড়ালে বিরোধপূর্ণ একটি পক্ষের লোকজন হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিক ও ক্যামেরা পারসনের দিকে তেড়ে যান। পার্শ্ববর্তী উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের আব্দুস সালাম পঞ্চায়েতের দুই পূত্র সোহেল (৩৫) ও কোয়েল (৩৮), আফতার আলীর পূত্র আক্কাছ আলী (৩৫), রাজারহাট মল্লিকবেগ এলাকার মাজহারুল ইসলামের পূত্র সেতু মিয়া (৩০), দলদলিয়া কাজী পাড়ার মৃত: মহুবর রহমানের পূত্র লুৎফর রহমান, রাজারহাট মনারকুটি এলাকার মৃত: জমসেদ আলীর পূত্র মাসুদ মিয়া (২৪), নাজিমখান তেলি পাড়ার করিম বকসের পূত্র রেজা (৩২)সহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২জন আসামী সংঘবদ্ধভাবে সাংদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এসময় ২নং আসামী সোহেল দুই হাত দিয়ে ক্যামেরা পারসন কবির হোসেনের গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। তাকে উদ্ধার করেতে এগিয়ে আসলে সাংবাদিক নাজমুল হোসেন ও ভুবন কুমার শীলের উপর অপর আসামীরা হামলা চালায়। এসময় তাদের কাছে থাকা ক্যামেরা ও মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়। পরে সেগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
এজাহার পাওয়ার কথা স্বীকার করে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকার জানান, ঘটনার তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।