বগুড়ার নন্দীগ্রামে শ^শুর বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রী সাথী খাতুনের (১৯) চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী রনি সরকারের বিরুদ্ধে। রণি সরকার উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাটলাল গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে।
এঘটনায় সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে গৃহবধু সাথী খাতুনের মা সবুরন বেওয়া বাদী হয়ে নন্দীগ্রাম থানায় জামাই ও মেয়ের শ্বশুড়-শাশুড়ির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সাথীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৭ মাস পূর্বে পারিবারিক ভাবে রণির সাথে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার দমদমা গ্রামের মৃত আবদুর রহিমের মেয়ে সাথী খাতুন বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে নগদ ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছিল। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে রণি তার স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে জমি বিক্রি করে আরও টাকা আনতে বলে। এতে তার স্ত্রী রাজি না হওয়ায় তাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন রণি। এতাবস্থায় সাথী শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্বামীর কাছে অনুরোধ করার পরও চিকিৎসা পায়নি সে। খবর পেয়ে মা সবুরন বেওয়া ছুটে আসেন মেয়ের বাড়িতে।
এরপর শনিবার (১১জুলাই) বিকালে সাথীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বললে রনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার মায়ের সামনেই সাথীকে মারপিট করে মাথার চুল কেটে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এসময় সাথীর মা বাধা দিলে তাকেও মারপিট করে রণি।
নির্যাতনের শিকার সাথী খাতুন জানান, তার স্বামী রনি সরকার এর আগেও বিয়ে করেছিল। সে ওই স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সম্প্রতি সাবেক স্ত্রীর সঙ্গেও যোগাযোগ শুরু করে রনি। বাপের বাড়ি থেকে জমি বিক্রি করে টাকা এনে না দেয়ায় তাকে মারপিটের পর চুল কেটে দেয়। তিনি আরও জানান, তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলে সে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে বাপের বাড়িতে থেকে তাকে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ প্রসঙ্গে থানা অফিসার ইনছার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবির জানান, এ ঘটনায় গৃহবধুর মা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।