রাজশাহীর তানোরে রহমান গ্রুপের রহমান ব্রাদার্স পটেটো হিমাগার -২ এর গরুর খামারের বর্জ্যয় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন চলাচল কারী থেকে শুরু করে আশপাশের কৃষক ও আলু চাষীরা বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই বর্জ্যয় নষ্ট হতে শুরু করেচে কৃষি জমি। কিন্তু হিমাগারের মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় সবাই নিরবতা পালন করছেন। কারন কিছু বললেও মামলা হামলার ভয় দেখাচ্ছেন কর্মকর্তা ও বখাটে কর্মচারীরা। নিয়োমিত বর্জ্য পরিস্কার না করায় দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে।এতে করে রহমানের বে রহমানীতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনসাধারন। ফলে দ্রুত হিমাগারের বর্জ্য নিরসনে সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। কারন আলু উত্তোলনের আগে খামার না সরালো আবার আলু পঁচবে, নষ্ট হবে আশপাশের ফসল।
জানা গেছে, তানোর টু মুন্ডুমালা রাস্তার আড়াদিঘি মোড়ের পূর্বদিকে ও মুল সড়কের উত্তরে রহমান গ্রুপের রহমান ব্রাদার্স পটেটো-২ নামের চার ফসলী কৃষি জমিতে গড়ে তোলা হয়। এর পরেই হিমাগারের ভিতরে নিয়মবহির্ভূত ভাবে বিশাল গরুর খামার প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই খামার প্রতিষ্ঠার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রাণী সম্পদ এবং ভোক্তা অধিকারের কোন অনুমতি না নিয়ে খামার করেছেন বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার নয়নজলি দখল করে হিমাগারের সীমানা প্রচীর। রাস্তা ও সীমানা প্রচীরের মাঝে রয়েছে নালা। সেই নালা দিয়ে দিনরাত খামারের বর্জ্য গিয়ে সরিষা ও আলুর জমিতে যাচ্ছে। বর্জ্য বের করার জন্য আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপ না থাকার কারনে প্রচুর দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। যার কারনে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। অটো চালক আমির, ইসলাম, শফিকুল জানান, এটা মুল রাস্তা, এরাস্তা দিয়ে শতশত যান বহন চলাচল করছে। হিমাগারের কাছে আসামাত্রই বিকট গন্ধ। নাকে কাপড় দেওয়া ছাড়া কোন ভাবে পার হওয়া যায় না। যেখানে কৃষকদের ভাগ্য বদল করতে হিমাগার করা হয়েছে, কিন্তু রহমানের বে রহমানীতে কৃষকের সর্বনাশ ছাড়া কিছুই না। গরুর খামারের জন্য গত মৌসুমে ব্যাপকভাবে আলু পঁচে নষ্ট হয়। সেই পঁচা আলু পার্শের কৃষি জমিতে ফেলা হয়েছে।
আলু রাখা কৃষক মাহাম জানান, হিমাগারে কোন ভাবে গরুর খামার করা যায় না। তারপরও রহমান হিমাগারের মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় গরুর খামার করতে পেরেছেন। খামারের জন্য আলু নষ্ট হচ্ছে। তারা হিমাগার করেছে আলু রাখার জন্য, সেখানে কেন খামার হবে। যদি খামার করতেই হয় তাহলে কৃষকের সর্বনাশ না করে অন্যত্র খামার করত। কৃষি জমির শ্রেণী পরিবর্তন না করে চার ফসলী জমিতে সরকারের নির্দেশ অমান্য করে হিমাগার করেছে।
কৃষকরা জানান, আলু সংরক্ষনের জন্য হিমাগার। কিন্তু সেখানে গরুর খামার করে কৃষি জমির সর্বনাশ ডেকে আনছে। আগামীতে আলু উত্তোলনের আগে খামারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আলু রাখা যাবে না। শুধু তাই না খামারের বর্জ্য ফসলি জমিতে গিয়ে পড়ছে। যার কারনে ফসল হানি হচ্ছে।
রহমান ব্রাদার্স পটেটো-২ এর ডিজিএম হালিম জানান, সবার অনুমতি নিয়ে খামার করা হয়েছে। অনুমতির কাগজপত্র দেখতে চাইলে অপারগতা প্রকাশ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, বিষয়টি আমার অজানা, এরকম হয়ে থাকলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।