শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) ঝিনাইদহ জেলা শাখা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সোমবার সকাল ১১.০০ ঘটিকায় ঝিনাইদহ মুজিব চত্বরে মুহাঃ আব্দুল মমিন-এর সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মহিউদ্দীন, সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, কেন্দ্রীয় কমিটি ও সভাপতি, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ঝিনাইদহ জেলা শাখা। মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন সুব্রত মল্লিক, মনিরুজ্জামান, আলমগীর হোসেন, মাসুদ করিম, আঃ রাজ্জাক, মোঃ ইসাহক আলী, মোঃ জালাল উদ্দিন, মোঃ নজরুল ইসলাম, শাহানাজ পারভিন, মোঃ শাহজাহান আলী সহ ঝিনাইদহ জেলার ছয় উপজেলার শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ। বক্তাগণ বলেন বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারী আজ মানবতার জীবন-যাপন করছে।
দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতিতে পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই আজ শিক্ষকরা বিদ্যালয় ছেড়ে রাস্তায় মানববন্ধনে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছে। শিক্ষকরা বহুবার সরকারের নিকট শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবী মানা হয়নি।
শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ, শিক্ষক-কর্মচারী অবসর গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের পাওনা পরিশোধ করা, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল যথাক্রমে ৬ষ্ঠ ও ৭ম গ্রেডে প্রদান, চাকরির বয়স সীমা ৬৫ বছরে উন্নীতকরণ, শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে শিক্ষা সহায়ক সামগ্রী প্রদান করা, ম্যানেজিং কমিটি/গভার্নিং বডির সদস্যদের নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করাসহ শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি সকল বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে শিক্ষানীতি-২০১০ এর দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান। বক্তাগণ আরো বলেন, দাবী বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে বেলা ১২ ঘটিকায় শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রদান করা হয়।