ঢাকা ০৬:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
হোমনায় দাখিল ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ডোমারে বড় রাউতা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা তিস্তা নদীতে বালু উত্তোলন, ব্যবসায়ী দশ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৩মাসের জেল আত্রাইয়ে সড়কে ঝড়ল শিশুর প্রাণ পত্নীতলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পাচ্ছেন ১৪৬ পরিবার তানোরে আশ্রয়ন প্রকল্পের বাড়ি উদ্ধোধন বাংলাদেশকে একটি বিমান চলাচল কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে রোডম্যাপ জরুরি : প্রধানমন্ত্রী আরও সাত জেলা ও ১৫৯টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী আরও ৩৯৩৬৫টি ঘর তুলে দিয়েছেন গৃহহীনদের হাতে বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে যুগান্তকারী ট্রানজিট চুক্তি সই

শিগগিরই রফতানি শুরুর আশায় কাঁকড়া চাষীরা

রফতানি বন্ধ থাকলেও কাঁকড়া চাষিরা আশা নিয়ে উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে স্থানীয় বাজারেও তুলছেন নরা কাঁকড়া। ফলে কর্মচারীদের খরচ নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। তবে ঈদুল আজহার সময় কাঁকড়া রফতানি শুরু হতে পারে বলে তারা আশা করছেন।

খুলনার পাইকগাছার কতিপয় কাঁকড়া ব্যবসায়ী এই প্রতিবেদককে বলেন, রফতানি না হওয়ায় স্থানীয় বাজারেও চাষিরা কাঁকড়া তুলছেন না। ফলে কাঁকড়ার কেনা-বেচা একদমই বন্ধ রয়েছে। তবে চাষিরা কম দামে কাঁকড়ার পোনা সংগ্রহ করে ঘেরে উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা আরও বলেন, ঈদুল আজহার আগে বা পরে কাঁকড়া রফতানি শুরুর সম্ভবনা রয়েছে। এ আশায় বুক বেঁধে তারা উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছেন।

কাঁকড়া রফতানি বন্ধের আগে বিভিন্ন গ্রেডের কাঁকড়া ৩০০ টাকা থেকে শুরু একহাজার টাকা দরে বিক্রি হতো। কিন্তু এখন বাজারে কোনও ধরনের কাঁকড়াই উঠছে না। পাইকগাছা কাঁকড়া ব্যবসায়ীরা বলেন, চীন নির্ভর কাঁকড়া ব্যবসা বন্ধের কারণে খুলনা তথা সুন্দরবন অঞ্চলের কাঁকড়া ব্যবসায়ীরা সংকটে রয়েছেন।

এ পরিস্থিতি দীর্ঘ হওয়ার কারণে স্থানীয় বাজারেও কাঁকড়া তুলছেন না ব্যবসায়ীরা। পাইকগাছার কাঁকড়া ডিপোগুলো বন্ধ থাকছে। তবে, কাঁকড়া রফতানি আগামী মাস থেকে শুরু হতে পারে এ প্রত্যাশায় চাষিরা উৎপাদন বাড়িয়েছে। পাইকগাছার কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ কুমার ঘোষ জানান, রফতানি বন্ধ হওয়ার সঙ্গে বকেয়া অর্থও ব্যবসায়ীরা না পাওয়ায় সংকেট বেশি ঘণীভূত হয়েছে। ঢাকার ব্যবসায়ীরা বকেয়া পরিশোধ করলেও স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কাঁকড়া চাষিরা নগদ কিছু টাকা পেতেন। বকেয়া আটকে থাকার পরও চাষিরা স্থানীয়ভাবে কাঁকড়া কম দামে পেয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখছেন।

ঈদের পর কাঁকড়া রফতানি শুরু হলেই চাষি ও ব্যবসায়ীরা চাঙা হয়ে উঠবেন। খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানান, খুলনার ২৮ হাজার ৫৪৬ হেক্টর জমিতে কাঁকড়া চাষ হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ এলাকা থেকে ৬ হাজার ৯৮৯ মেট্রিক টন কাঁকড়া উৎপাদন হয়। গত অর্থ বছর ৭ হাজার মেট্রিক টন কাঁকড়া উৎপাদনের লক্ষ্য ছিল। কিন্তু রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত কাঁকড়া চাষ সংকটে পড়ে। চীন, তাইওয়ান, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়ায় কাঁকড়ার বাজার।

অস্ট্রেলিয়ায় নরম খোসার কাঁকড়া। আর অন্য দেশগুলোতে স্বাভাবিক কাঁকড়া রফতানি হয়। নতুন অর্থবছরে এসে কাঁকড়া চাষিরা নতুনভাবে উৎপাদনে নেমেছেন।শিগগিরই রফতানি শুরুর আশায় কাঁকড়া চাষিরা রফতানি বন্ধ থাকলেও কাঁকড়া চাষিরা আশা নিয়ে উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে স্থানীয় বাজারেও তুলছেন নরা কাঁকড়া। ফলে কর্মচারীদের খরচ নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। তবে ঈদুল আজহার সময় কাঁকড়া রফতানি শুরু হতে পারে বলে তারা আশা করছেন।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

হোমনায় দাখিল ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা

শিগগিরই রফতানি শুরুর আশায় কাঁকড়া চাষীরা

আপডেট সময় : ০৮:২৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুলাই ২০২০

রফতানি বন্ধ থাকলেও কাঁকড়া চাষিরা আশা নিয়ে উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে স্থানীয় বাজারেও তুলছেন নরা কাঁকড়া। ফলে কর্মচারীদের খরচ নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। তবে ঈদুল আজহার সময় কাঁকড়া রফতানি শুরু হতে পারে বলে তারা আশা করছেন।

খুলনার পাইকগাছার কতিপয় কাঁকড়া ব্যবসায়ী এই প্রতিবেদককে বলেন, রফতানি না হওয়ায় স্থানীয় বাজারেও চাষিরা কাঁকড়া তুলছেন না। ফলে কাঁকড়ার কেনা-বেচা একদমই বন্ধ রয়েছে। তবে চাষিরা কম দামে কাঁকড়ার পোনা সংগ্রহ করে ঘেরে উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা আরও বলেন, ঈদুল আজহার আগে বা পরে কাঁকড়া রফতানি শুরুর সম্ভবনা রয়েছে। এ আশায় বুক বেঁধে তারা উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছেন।

কাঁকড়া রফতানি বন্ধের আগে বিভিন্ন গ্রেডের কাঁকড়া ৩০০ টাকা থেকে শুরু একহাজার টাকা দরে বিক্রি হতো। কিন্তু এখন বাজারে কোনও ধরনের কাঁকড়াই উঠছে না। পাইকগাছা কাঁকড়া ব্যবসায়ীরা বলেন, চীন নির্ভর কাঁকড়া ব্যবসা বন্ধের কারণে খুলনা তথা সুন্দরবন অঞ্চলের কাঁকড়া ব্যবসায়ীরা সংকটে রয়েছেন।

এ পরিস্থিতি দীর্ঘ হওয়ার কারণে স্থানীয় বাজারেও কাঁকড়া তুলছেন না ব্যবসায়ীরা। পাইকগাছার কাঁকড়া ডিপোগুলো বন্ধ থাকছে। তবে, কাঁকড়া রফতানি আগামী মাস থেকে শুরু হতে পারে এ প্রত্যাশায় চাষিরা উৎপাদন বাড়িয়েছে। পাইকগাছার কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ কুমার ঘোষ জানান, রফতানি বন্ধ হওয়ার সঙ্গে বকেয়া অর্থও ব্যবসায়ীরা না পাওয়ায় সংকেট বেশি ঘণীভূত হয়েছে। ঢাকার ব্যবসায়ীরা বকেয়া পরিশোধ করলেও স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কাঁকড়া চাষিরা নগদ কিছু টাকা পেতেন। বকেয়া আটকে থাকার পরও চাষিরা স্থানীয়ভাবে কাঁকড়া কম দামে পেয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখছেন।

ঈদের পর কাঁকড়া রফতানি শুরু হলেই চাষি ও ব্যবসায়ীরা চাঙা হয়ে উঠবেন। খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানান, খুলনার ২৮ হাজার ৫৪৬ হেক্টর জমিতে কাঁকড়া চাষ হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ এলাকা থেকে ৬ হাজার ৯৮৯ মেট্রিক টন কাঁকড়া উৎপাদন হয়। গত অর্থ বছর ৭ হাজার মেট্রিক টন কাঁকড়া উৎপাদনের লক্ষ্য ছিল। কিন্তু রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত কাঁকড়া চাষ সংকটে পড়ে। চীন, তাইওয়ান, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়ায় কাঁকড়ার বাজার।

অস্ট্রেলিয়ায় নরম খোসার কাঁকড়া। আর অন্য দেশগুলোতে স্বাভাবিক কাঁকড়া রফতানি হয়। নতুন অর্থবছরে এসে কাঁকড়া চাষিরা নতুনভাবে উৎপাদনে নেমেছেন।শিগগিরই রফতানি শুরুর আশায় কাঁকড়া চাষিরা রফতানি বন্ধ থাকলেও কাঁকড়া চাষিরা আশা নিয়ে উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে স্থানীয় বাজারেও তুলছেন নরা কাঁকড়া। ফলে কর্মচারীদের খরচ নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। তবে ঈদুল আজহার সময় কাঁকড়া রফতানি শুরু হতে পারে বলে তারা আশা করছেন।