ঢাকা ১০:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

শোকের দিনে হৃদয় রক্তক্ষরণ!

হাসান তারেক, এ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

আজকের বরগুনা ট্রাজেডি নিয়ে খুব বেশি কিছু বলতে চাইনা।… আমার কাছে যেসকল ভিডিও পাঠানো হয়েছে, সেগুলো দেখে আমি হতবাক। ভিডিওগুলোতে নীল গেঞ্জি এবং জিন্স পরিহিত একজন সরকারি কর্মকর্তা বরগুনার মাননীয় সংসদ সদস্যের সামনে যে আচরণ করেছেন, সেটা সর্বোচ্চ রকমের অসদাচরণ কিনা? সেটা তার উর্ধতন কর্মকর্তারা নিশ্চয়ই দেখবেন এবং যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন।

আমি সকলের জ্ঞাতার্থে বাংলাদেশের ওয়ারেন্ট অফ প্রেসিডেন্স অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে পুলিশ বাহিনীর প্রধানের অবস্থান ১৬ নাম্বারে, পক্ষান্তরে একজন সংসদ সদস্যের পদমর্যাদা ক্রম তার তিন ধাপ উপরে, অর্থাৎ ১৩ নাম্বারে। নীলগেঞ্জি পরিহিত সেই কর্মকর্তা একজন সংসদ সদস্যের সামনে যে আচরণ করেছেন, সেই আচরণ তার বাহিনীর স্বয়ং প্রধানও করতে পারেন কিনা সেটা নিয়ে আমি সন্দেহের অবকাশ থাকার কোন কারন বা যৌক্তিকতা আছে বলে মনে হয় না।

বর্তমান পুলিশ বাহিনী একটি সুশৃঙ্খল পেশাদার এবং দেশপ্রেমিক বাহিনী। একজনের জন্য পুরা বাহিনীকে দোষারোপ করা যাবে না। তারা আমাদের গর্ব।

প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গ্রুপের সাথে মারামারি হয়েছে এবং মারামারির একপর্যায়ে একটা ইট পুলিশের গাড়িতে পরেছে। এটা নিশ্চিতভাবেই একটা অপরাধ। পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে যে বা যারা ইট নিক্ষেপ করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা যেতে পারত। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যেত। সর্বোচ্চ ক্ষতিপুরন আদায় করা যেত। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া যেত। তাই বলে একজনের একটি ভুল/অপরাধের জন্য ছাত্রলীগের সবার প্রতি কেন এমন নির্মমতা? ঐ জেলার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং অভিভাবকদের চোখের সামনে? এত ক্ষোভ ছাত্রলীগের প্রতি?? কেন এত ক্ষোভ??

ছাত্রলীগের যেসকল ছোট ভাইরা অন্যায়ভাবে নির্মমতার শিকার হয়েছ তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে এই ঘটনায় আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারিনা।

আমরা এই নির্মমতা এবং অসদাচরনের বিচার চাই!!

অসম্মানজনক ভাষা ব্যবহার, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শান্তিপূর্ণ, অহিংস প্রতিবাদের চেয়ে শক্তিশালী কোন প্রতিবাদ নেই।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

শোকের দিনে হৃদয় রক্তক্ষরণ!

আপডেট সময় : ১২:২৭:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২

হাসান তারেক, এ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

আজকের বরগুনা ট্রাজেডি নিয়ে খুব বেশি কিছু বলতে চাইনা।… আমার কাছে যেসকল ভিডিও পাঠানো হয়েছে, সেগুলো দেখে আমি হতবাক। ভিডিওগুলোতে নীল গেঞ্জি এবং জিন্স পরিহিত একজন সরকারি কর্মকর্তা বরগুনার মাননীয় সংসদ সদস্যের সামনে যে আচরণ করেছেন, সেটা সর্বোচ্চ রকমের অসদাচরণ কিনা? সেটা তার উর্ধতন কর্মকর্তারা নিশ্চয়ই দেখবেন এবং যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন।

আমি সকলের জ্ঞাতার্থে বাংলাদেশের ওয়ারেন্ট অফ প্রেসিডেন্স অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে পুলিশ বাহিনীর প্রধানের অবস্থান ১৬ নাম্বারে, পক্ষান্তরে একজন সংসদ সদস্যের পদমর্যাদা ক্রম তার তিন ধাপ উপরে, অর্থাৎ ১৩ নাম্বারে। নীলগেঞ্জি পরিহিত সেই কর্মকর্তা একজন সংসদ সদস্যের সামনে যে আচরণ করেছেন, সেই আচরণ তার বাহিনীর স্বয়ং প্রধানও করতে পারেন কিনা সেটা নিয়ে আমি সন্দেহের অবকাশ থাকার কোন কারন বা যৌক্তিকতা আছে বলে মনে হয় না।

বর্তমান পুলিশ বাহিনী একটি সুশৃঙ্খল পেশাদার এবং দেশপ্রেমিক বাহিনী। একজনের জন্য পুরা বাহিনীকে দোষারোপ করা যাবে না। তারা আমাদের গর্ব।

প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গ্রুপের সাথে মারামারি হয়েছে এবং মারামারির একপর্যায়ে একটা ইট পুলিশের গাড়িতে পরেছে। এটা নিশ্চিতভাবেই একটা অপরাধ। পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে যে বা যারা ইট নিক্ষেপ করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা যেতে পারত। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যেত। সর্বোচ্চ ক্ষতিপুরন আদায় করা যেত। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া যেত। তাই বলে একজনের একটি ভুল/অপরাধের জন্য ছাত্রলীগের সবার প্রতি কেন এমন নির্মমতা? ঐ জেলার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং অভিভাবকদের চোখের সামনে? এত ক্ষোভ ছাত্রলীগের প্রতি?? কেন এত ক্ষোভ??

ছাত্রলীগের যেসকল ছোট ভাইরা অন্যায়ভাবে নির্মমতার শিকার হয়েছ তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে এই ঘটনায় আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারিনা।

আমরা এই নির্মমতা এবং অসদাচরনের বিচার চাই!!

অসম্মানজনক ভাষা ব্যবহার, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শান্তিপূর্ণ, অহিংস প্রতিবাদের চেয়ে শক্তিশালী কোন প্রতিবাদ নেই।