ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সাঘাটার হলদিয়ার ৪৪ বছরের পুরান স্কুলটি নদীগর্ভে বিলীন

টানা বর্ষণ আর উজানের ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি কমতে থাকায় গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার নদী ভাঙন তীব্র ভাঙন আকার ধারণ করেছে। এতে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পরিবার ভাঙন কবলিত হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। ইতোমধ্যে যমুনা নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবনটি। এছাড়া ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে আশেপাশের দু’শতাধিক বসতবাড়ী। ফলে ভাঙন কবলিত মানুষ দ্রুত তাদের বাড়িঘর সরিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘন্টায় গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠসহ দু’টি শ্রেণি কক্ষ নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। যে কোন সময় সম্পূর্ণ ভবনটি নদীতে বিলিন হতে পারে আশংকায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাকি শ্রেণি কক্ষগুলোর টিনের চাল, চেয়ার, টেবিল ও বেঞ্চসহ অন্যান্য সরঞ্জাম দ্রুত অন্যত্র সরে নিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যাপক নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

ভাঙনে চরম হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের জিগাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি বাজার, নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা, ঈদগা মাঠ, একটি বিএস কোয়াটার, এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, দুটি জামে মসজিদ, ৩টি মোবাইল টাওয়ার ও একটি বাজার এখন মারাত্মকভাবে ভাঙন কবলিত।

এছাড়া সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ সাথালিয়া, উত্তর সাথালিয়ার ফ্লাড সেন্টার, গোবিন্দী, হাটবাড়ি, বাঁশহাটা, হাসিলকান্দি মৌজার প্রায় ২শ’ পরিবারের ঘরবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের শিকার এসব পরিবার অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

রাহুল গান্ধীকে পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণা

সাঘাটার হলদিয়ার ৪৪ বছরের পুরান স্কুলটি নদীগর্ভে বিলীন

আপডেট সময় : ০৪:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুলাই ২০২০

টানা বর্ষণ আর উজানের ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি কমতে থাকায় গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার নদী ভাঙন তীব্র ভাঙন আকার ধারণ করেছে। এতে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পরিবার ভাঙন কবলিত হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। ইতোমধ্যে যমুনা নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবনটি। এছাড়া ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে আশেপাশের দু’শতাধিক বসতবাড়ী। ফলে ভাঙন কবলিত মানুষ দ্রুত তাদের বাড়িঘর সরিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘন্টায় গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠসহ দু’টি শ্রেণি কক্ষ নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। যে কোন সময় সম্পূর্ণ ভবনটি নদীতে বিলিন হতে পারে আশংকায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাকি শ্রেণি কক্ষগুলোর টিনের চাল, চেয়ার, টেবিল ও বেঞ্চসহ অন্যান্য সরঞ্জাম দ্রুত অন্যত্র সরে নিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যাপক নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

ভাঙনে চরম হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের জিগাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি বাজার, নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা, ঈদগা মাঠ, একটি বিএস কোয়াটার, এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, দুটি জামে মসজিদ, ৩টি মোবাইল টাওয়ার ও একটি বাজার এখন মারাত্মকভাবে ভাঙন কবলিত।

এছাড়া সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ সাথালিয়া, উত্তর সাথালিয়ার ফ্লাড সেন্টার, গোবিন্দী, হাটবাড়ি, বাঁশহাটা, হাসিলকান্দি মৌজার প্রায় ২শ’ পরিবারের ঘরবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের শিকার এসব পরিবার অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে।