ঢাকা ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

সামনে আরও ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে : ডব্লিউএইচও

নভেল করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ মহামারির অবসানের সম্ভাবনা তো দূরের কথা, বিশ্ব এখনো করোনার সবচেয়ে খারাপ দিকটা এখনো দেখেইনি বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, বিশ্বের দেশগুলোর সরকার যদি করোনা মোকাবিলায় সঠিক কৌশল বা পন্থা বা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন শুরু না করে, তাহলে আরো বহু মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারে।

করোনা মোকাবিলায় আগের বার্তাই তুলে ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ‘পরীক্ষা, শনাক্তকরণ, বিচ্ছিন্নকরণ ও কোয়ারেন্টিন।’ ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে গতকাল সোমবার টেড্রস আধানোম গ্যব্রিয়েসুস বলেন, ‘আমরা সবাই চাই এর (করোনাজনিত পরিস্থিতি) অবসান হোক। আমরা সবাই চাই আমাদের জীবন চলমান থাকুক। কিন্তু কঠিন বাস্তবতা হলো, এ পরিস্থিতি অবসানের কাছাকাছি পর্যায়েও নেই। করোনা মোকাবিলায় অনেক দেশ কিছু উন্নতি করলেও, প্রকৃতপক্ষে বিশ্বজুড়ে করোনার মহামারি দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে।

টেড্রস আধানোম গ্যব্রিয়েসুস আরো বলেন, ‘এক কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে এবং পাঁচ লাখ মানুষ মারা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে সমস্যাগুলো এরই মধ্যে চিহ্নিত করেছি, সেগুলো সমাধানে নজর না দিয়ে জাতীয় ঐক্যের অভাব, বৈশ্বিক সহমর্মিতার অভাব এবং দ্বিধা-বিভক্তির বিশ্ব আসলে ভাইরাসকে ছড়িয়ে পড়তেই সহায়তা করছে… সবচেয়ে খারাপটা এখনো আসা বাকি রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান আরো বলেন, ‘বলতে খারাপ লাগছে, কিন্তু এ ধরনের বৈশ্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি দেখে সবচেয়ে খারাপ কিছু হওয়ার আশঙ্কাই করছি আমরা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিভিন্ন দেশের সরকারকে জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের উদাহরণ অনুসরণ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এসব দেশ প্রচুর সংখ্যক শনাক্তকরণ পরীক্ষা ও কোভিড-১৯ রোগীর অবস্থান চিহ্নিত করার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

সামনে আরও ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে : ডব্লিউএইচও

আপডেট সময় : ০৮:৫১:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০

নভেল করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ মহামারির অবসানের সম্ভাবনা তো দূরের কথা, বিশ্ব এখনো করোনার সবচেয়ে খারাপ দিকটা এখনো দেখেইনি বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, বিশ্বের দেশগুলোর সরকার যদি করোনা মোকাবিলায় সঠিক কৌশল বা পন্থা বা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন শুরু না করে, তাহলে আরো বহু মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারে।

করোনা মোকাবিলায় আগের বার্তাই তুলে ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ‘পরীক্ষা, শনাক্তকরণ, বিচ্ছিন্নকরণ ও কোয়ারেন্টিন।’ ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে গতকাল সোমবার টেড্রস আধানোম গ্যব্রিয়েসুস বলেন, ‘আমরা সবাই চাই এর (করোনাজনিত পরিস্থিতি) অবসান হোক। আমরা সবাই চাই আমাদের জীবন চলমান থাকুক। কিন্তু কঠিন বাস্তবতা হলো, এ পরিস্থিতি অবসানের কাছাকাছি পর্যায়েও নেই। করোনা মোকাবিলায় অনেক দেশ কিছু উন্নতি করলেও, প্রকৃতপক্ষে বিশ্বজুড়ে করোনার মহামারি দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে।

টেড্রস আধানোম গ্যব্রিয়েসুস আরো বলেন, ‘এক কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে এবং পাঁচ লাখ মানুষ মারা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে সমস্যাগুলো এরই মধ্যে চিহ্নিত করেছি, সেগুলো সমাধানে নজর না দিয়ে জাতীয় ঐক্যের অভাব, বৈশ্বিক সহমর্মিতার অভাব এবং দ্বিধা-বিভক্তির বিশ্ব আসলে ভাইরাসকে ছড়িয়ে পড়তেই সহায়তা করছে… সবচেয়ে খারাপটা এখনো আসা বাকি রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান আরো বলেন, ‘বলতে খারাপ লাগছে, কিন্তু এ ধরনের বৈশ্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি দেখে সবচেয়ে খারাপ কিছু হওয়ার আশঙ্কাই করছি আমরা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিভিন্ন দেশের সরকারকে জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের উদাহরণ অনুসরণ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এসব দেশ প্রচুর সংখ্যক শনাক্তকরণ পরীক্ষা ও কোভিড-১৯ রোগীর অবস্থান চিহ্নিত করার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সক্ষম হয়েছে।