ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সাহারা খাতুনের মরদেহ ঢাকায়, দাফন বনানীতে

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুনের মরদেহ মধ্যরাতে ঢাকায় পৌঁছাছে। শনিবার রাজধানীর বনানীতে মায়ের কবরে তাঁকে দাফন করা হবে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। সেখানে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাকর্মীরা তখন উপস্থিত ছিলেন।

বিমানবন্দরে উপস্থিত নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জনাব খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সাহারা খাতুনের মরদেহ রাত ১ টা ৫০ মিনিটে পৌঁছেছে। আগামীকাল শনিবার সকাল ১১টায় বনানী কবরস্থান মসজিদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সাহারা খাতুনের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরে তাঁকে দাফন করা হবে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাতীয় সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন মারা যান।

উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৬ জুলাই সাহারা খাতুনকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা।

গত ২ জুন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন জ্বর, অ্যালার্জিসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবস্থার অবনতি হলে ১৯ জুন তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

এরপর অবস্থার উন্নতি হলে ২২ জুন তাঁকে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়। ২৬ জুন সকালে তাঁর শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি হয়। ফের নেওয়া হয় আইসিইউতে। একটু ভালো হওয়ার পর ৬ জুলাই তিনি থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।

সাহারা খাতুন ১৯৪৩ সালের ১ মার্চ ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা আবদুল আজিজ ও মা টুরজান নেসা। সাহারা খাতুন স্নাতক ও এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করে আইনপেশায় যোগ দেন। ছাত্রজীবনেই তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এর পাশাপাশি তিনি আন্তর্জাতিক মহিলা আইনজীবী সমিতি ও আন্তর্জাতিক মহিলা জোটের সদস্য ছিলেন।

সাহারা খাতুন ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী হন। এরপর দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হলেও মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

রাহুল গান্ধীকে পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণা

সাহারা খাতুনের মরদেহ ঢাকায়, দাফন বনানীতে

আপডেট সময় : ০৭:৫৯:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুনের মরদেহ মধ্যরাতে ঢাকায় পৌঁছাছে। শনিবার রাজধানীর বনানীতে মায়ের কবরে তাঁকে দাফন করা হবে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। সেখানে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাকর্মীরা তখন উপস্থিত ছিলেন।

বিমানবন্দরে উপস্থিত নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জনাব খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সাহারা খাতুনের মরদেহ রাত ১ টা ৫০ মিনিটে পৌঁছেছে। আগামীকাল শনিবার সকাল ১১টায় বনানী কবরস্থান মসজিদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সাহারা খাতুনের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরে তাঁকে দাফন করা হবে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাতীয় সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন মারা যান।

উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৬ জুলাই সাহারা খাতুনকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা।

গত ২ জুন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন জ্বর, অ্যালার্জিসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবস্থার অবনতি হলে ১৯ জুন তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

এরপর অবস্থার উন্নতি হলে ২২ জুন তাঁকে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়। ২৬ জুন সকালে তাঁর শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি হয়। ফের নেওয়া হয় আইসিইউতে। একটু ভালো হওয়ার পর ৬ জুলাই তিনি থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।

সাহারা খাতুন ১৯৪৩ সালের ১ মার্চ ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা আবদুল আজিজ ও মা টুরজান নেসা। সাহারা খাতুন স্নাতক ও এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করে আইনপেশায় যোগ দেন। ছাত্রজীবনেই তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এর পাশাপাশি তিনি আন্তর্জাতিক মহিলা আইনজীবী সমিতি ও আন্তর্জাতিক মহিলা জোটের সদস্য ছিলেন।

সাহারা খাতুন ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী হন। এরপর দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হলেও মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি।