সিদ্ধিরগঞ্জে ৩’শিশুকে ধর্ষণ ও বলাৎকারের চেষ্টার অভিযোগে ইকবাল গ্রেফতার। গত ৩০’জুন মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০’টায় নাসিক ৪নং ওয়ার্ড আটি ওয়াবদা কলোনি ছাপাকারখানার পেয়ার আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৪নং ওয়ার্ড আটি ওয়াবদা কলোনি ছাপাকারখানার পেয়ার আলীর বাড়ি। উক্ত বাড়ীতে লম্পট ইকবাল স্ব-পরিবারে ভাড়ায় বসবাস করে আসছে। শামিম, দেলোয়ার ও রিয়াদ স্ব-পরিবারে একই বাসায় ভাড়ায় বসবাস করে আসছে। গত ২৫’জুন বৃহস্পতিবার বিকেল ৪’টায় লম্পট ইকবাল ৩’শিশু বাচ্চা যাদের বয়স ৬ থেকে ৮’র মধ্যে এদেরকে বাথরুমে নিয়ে উলঙ্গ করে। এ সময় শিশুদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত লাগায়। ৩’শিশুর মধ্যে ১’জন ছেলে শিশু রয়েছে। এ ৩’শিশুকে লম্পট ইকবাল ধর্ষণ ও বলাৎকারের চেষ্টা চালায়।
শিশুদের ডাক চিৎকারে আশপাশের ভাড়াটিয়ারা এগিয়ে এসে শিশুদের লম্পট ইকবালের হাত থেকে উদ্ধার করে। পরে শিশুদের বাবা শামিম, দেলোয়ার ও রিয়াদ ঘরোয়া ভাবে আলোচনা করে ও শিশুদের চিকিৎসা দেয়। গতকাল ৩০’ জুন মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০’টায় এক মেয়ে শিশুর মা আলেয়া বেগম বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ফয়সাল আলম লম্পট ইকবাল হোসেনকে গ্রেফতার করে। ইকবাল হোসেন(২৪) সোলাই বিনদপুর গ্রামের ধর্মপাশা থানার সুনামগঞ্জ জেলার সাত্তার মিয়ার ছেলে। এ ব্যাপারে এক মেয়ে শিশুর মা আলেয়া বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। আজ ৩১’জুন বুধবার লম্পট ইকবালকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ফয়সাল আলম জানান, লম্পট ইকবাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।