ঢাকা ০২:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ৯ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

সুন্দরগঞ্জে চিকিৎসার নামে ৩ শিশু ধর্ষণ, ধর্ষক কবিরাজ গ্রেফতার

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে কবিরাজী চিকিৎসার নামে পালাক্রমে ৩ শিশুকে ধর্ষণ করার অভিযোগে পুলিশ এক নরপশু ভন্ড কবিরাজকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম দুলাল গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে আতোয়ার রহমান দীর্ঘ দিন থেকে প্যারালাইসিস রোগে ভূগছিলেন। গত এক মাস থেকে ধর্মপুর গ্রামের মৃত আঃ কাদেরের ছেলে হাতুরে কবিরাজ ফারুক মিয়া (৩৬) আতোয়ারের বাড়িতে অবস্থান করে ঝাড়-ফুঁক দিয়ে তার চিকিৎসা করছিলেন। ভন্ড কবিরাজের কথামত রাত ও দিনে ঝাড়-ফুঁকের সময় ৩ কন্যা শিশুকে নাঁচা লাগতো রোগী ও কবিরাজের চারপাশে।

এভাবে চিকিৎসা করতে করতে কবিরাজী দ্বারা মানুষের অঙ্গহানী ও বোবা বানানো যায় বলে ওই বাড়ির লোকদের মনে ভয়-ভীতির সৃষ্টি করেন কবিরাজ। এই ভয়কে পুঁজি করে কবিরাজ ফারুক পালাক্রমে নাচনী ওই ৩ শিশুকে ধর্ষণ করতে থাকে। কাউকে বললে তাদের জীবনে বিয়ে হবেনা এবং বিয়ে হলেও ৭ জন স্বামী হবে বলে হুমকী দেন কবিরাজ। এরপরও এক শিশু তার পরিবারের কাছে কবিরাজের কূকীর্তির কথা ফাঁস করে দেন। ৩ শিশু ধর্ষণের ঘটনায় এক অভিভাবক বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় মামলা করেন।

এ ৩ শিশুর বয়স যথাক্রমে ১০.১১ ও ১৩ বছর। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ভন্ড কবিরাজকে গ্রেফতার করেন। থানার ওসি আব্দুল্লাহিল জামান গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করে জানান, শনিবার ধর্ষক কবিরাজকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ওই ৩ শিশুকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

সুন্দরগঞ্জে চিকিৎসার নামে ৩ শিশু ধর্ষণ, ধর্ষক কবিরাজ গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৩:৫০:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুন ২০২০

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে কবিরাজী চিকিৎসার নামে পালাক্রমে ৩ শিশুকে ধর্ষণ করার অভিযোগে পুলিশ এক নরপশু ভন্ড কবিরাজকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম দুলাল গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে আতোয়ার রহমান দীর্ঘ দিন থেকে প্যারালাইসিস রোগে ভূগছিলেন। গত এক মাস থেকে ধর্মপুর গ্রামের মৃত আঃ কাদেরের ছেলে হাতুরে কবিরাজ ফারুক মিয়া (৩৬) আতোয়ারের বাড়িতে অবস্থান করে ঝাড়-ফুঁক দিয়ে তার চিকিৎসা করছিলেন। ভন্ড কবিরাজের কথামত রাত ও দিনে ঝাড়-ফুঁকের সময় ৩ কন্যা শিশুকে নাঁচা লাগতো রোগী ও কবিরাজের চারপাশে।

এভাবে চিকিৎসা করতে করতে কবিরাজী দ্বারা মানুষের অঙ্গহানী ও বোবা বানানো যায় বলে ওই বাড়ির লোকদের মনে ভয়-ভীতির সৃষ্টি করেন কবিরাজ। এই ভয়কে পুঁজি করে কবিরাজ ফারুক পালাক্রমে নাচনী ওই ৩ শিশুকে ধর্ষণ করতে থাকে। কাউকে বললে তাদের জীবনে বিয়ে হবেনা এবং বিয়ে হলেও ৭ জন স্বামী হবে বলে হুমকী দেন কবিরাজ। এরপরও এক শিশু তার পরিবারের কাছে কবিরাজের কূকীর্তির কথা ফাঁস করে দেন। ৩ শিশু ধর্ষণের ঘটনায় এক অভিভাবক বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় মামলা করেন।

এ ৩ শিশুর বয়স যথাক্রমে ১০.১১ ও ১৩ বছর। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ভন্ড কবিরাজকে গ্রেফতার করেন। থানার ওসি আব্দুল্লাহিল জামান গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করে জানান, শনিবার ধর্ষক কবিরাজকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ওই ৩ শিশুকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।