ঢাকা ০২:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ৯ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

সুন্দরগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি পানিবন্দি ৩৫ হাজার মানুষ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি দেখা দিয়েছে। পানিবন্দী হয়েছে ৮ হাজার ৯৩০ পরিবারের ৩৫ হাজার ৭২০ জন মানুষ।
গত ৪ দিন থেকে একটানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানির ঢলে উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর পানিতে চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় বেলকা, হরিপুর, কাপাশিয়া, শ্রীপুর, চন্ডিপুর, তারাপুর, শান্তিরাম ও কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের ৮ হাজার ৯৩০ পরিবারের ঘরবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন ৩৫ হাজার ৭২০ জন মানুষ। বাড়ি-ঘরের ভিতর পানি থাকায় রান্নার অভাবে অনাহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন করছেন তারা। সরকারি ভাবে পানিবন্দী মানুষদের উদ্ধারের ব্যবস্থা না থাকায় অনেকেই পরিবার পরিজন, গবাদি পশু-পাখি নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বেরি বাঁধ ও উঁচু স্থানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা খাদ্য, বিশুদ্ধ পানীয় জল ও জ্বালানী না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৯৩০ পরিবারের ৩৫ হাজার ৭২০ জন মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।

এরমধ্যে তারাপুর ইউনিয়নে ৫০০, বেলকায় এক হাজার ৮০০,হরিপুরে ৩ হাজার ৮০,কঞ্চিবাড়ীতে ২৫০, শ্রীপুরে ৩০০, চন্ডিপুরে ২৫০ ও কাপাসিয়া ইউনিয়নে ৩ হাজার ৩৫০ পরিবার পানিবন্দী হয়েছে। তবে সরকারি হিসাবের চেয়ে প্রকৃত পানিবন্দীর সংখ্যা আরো বেশী হবে বলে স্থানীয়রা জানান। দিন দিন পানি বন্দীর সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান সদ্য করোনামুক্ত হওয়ায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

আপলোডকারীর তথ্য

সুন্দরগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি পানিবন্দি ৩৫ হাজার মানুষ

আপডেট সময় : ০৮:২৮:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুলাই ২০২০

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি দেখা দিয়েছে। পানিবন্দী হয়েছে ৮ হাজার ৯৩০ পরিবারের ৩৫ হাজার ৭২০ জন মানুষ।
গত ৪ দিন থেকে একটানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানির ঢলে উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর পানিতে চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় বেলকা, হরিপুর, কাপাশিয়া, শ্রীপুর, চন্ডিপুর, তারাপুর, শান্তিরাম ও কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের ৮ হাজার ৯৩০ পরিবারের ঘরবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন ৩৫ হাজার ৭২০ জন মানুষ। বাড়ি-ঘরের ভিতর পানি থাকায় রান্নার অভাবে অনাহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন করছেন তারা। সরকারি ভাবে পানিবন্দী মানুষদের উদ্ধারের ব্যবস্থা না থাকায় অনেকেই পরিবার পরিজন, গবাদি পশু-পাখি নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বেরি বাঁধ ও উঁচু স্থানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা খাদ্য, বিশুদ্ধ পানীয় জল ও জ্বালানী না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৯৩০ পরিবারের ৩৫ হাজার ৭২০ জন মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।

এরমধ্যে তারাপুর ইউনিয়নে ৫০০, বেলকায় এক হাজার ৮০০,হরিপুরে ৩ হাজার ৮০,কঞ্চিবাড়ীতে ২৫০, শ্রীপুরে ৩০০, চন্ডিপুরে ২৫০ ও কাপাসিয়া ইউনিয়নে ৩ হাজার ৩৫০ পরিবার পানিবন্দী হয়েছে। তবে সরকারি হিসাবের চেয়ে প্রকৃত পানিবন্দীর সংখ্যা আরো বেশী হবে বলে স্থানীয়রা জানান। দিন দিন পানি বন্দীর সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান সদ্য করোনামুক্ত হওয়ায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।