ঢাকা ১১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আক্কেলপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন পবিত্র রমজান সকল মুসলমানের জন্য নেয়ামত হিসেবে আল্লহ ফরজ করেছেন – সাইফুজ্জামান শিখর এমপি প্রেমিকের সাথে বিয়ে না দেওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা সুন্দরগজ্ঞে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উৎযাপন সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে উধাও তোলপাড় তানোর রাণীশংকৈলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উপহার পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী জিয়া ছিলেন মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর: তথ্যমন্ত্রী দৌলতপুরে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত রাণীশংকৈলে জোরপূর্বক জমি দখল ও ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে আদিবাসিদের বিরুদ্ধে

সুন্দরবনে বাঘ গণনা শুরু

অবশেষে সুন্দরবনের বাঘ (রয়েল বেঙ্গল টাইগার) জরিপের কাজ শুরু হয়েছে। তৃতীয়বারের মতো বাঘ গণনায় ক্যামেরা ট্র্যাপিং রোববার থেকেই শুরু হয়েছে। বিকেলে সুন্দরবনের কালাবগি ফরেস্ট অফিস এলাকায় ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে এ জরিপ কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় বাঘ সংরক্ষণ কার্যক্রমে ভালো ফলাফলের আশা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সুন্দরবনে বাঘ সংরক্ষণে চলমান কার্যক্রমে ফলাফল ‘ভুল না সঠিক’ এ বিষয়ে বিশ্লেষণের জন্যই শুরু হয়েছে বাঘ জরিপ।

বন বিভাগ বলছে, জরিপ কাজে সুন্দরবনের ৬শ’৬৫টি গ্রীডে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি গ্রীডের দু’পাশে দুটি ক্যামেরা থাকবে। যা ৪০ দিন থাকবে। প্রতি ১৫ দিন অন্তর ক্যামেরার ব্যাটারি ও এসডি কার্ড পরিবর্তন করতে হবে। বাঘ গণনার ফল জানা যাবে ২০২৪ সালের জুন-জুলাইয়ে।

এবারই সুন্দরবনের চারটি রেঞ্জ এলাকা জরিপের আওতায় আসছে। এর মধ্যে আগামী মার্চ-এপ্রিল মাস পর্যন্ত খুলনা এবং সাতক্ষীরা রেঞ্জে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের কাজ চলবে। আর নভেম্বর-ডিসেম্বরে চাঁদপাই এবং শরণখোলা রেঞ্জে কাজ করা হবে। ফলে এ জরিপ কাজ বছর জুড়েই করা হবে।সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প পরিচালক ও সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন জানান, ‘সুন্দরবন অনেক বড় এলাকা। এক বছরের মধ্যে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে এই কাজ করা হবে। ৪৫০টি ক্যামেরা রয়েছে, সেগুলো দিয়ে মার্চের মধ্যে জরিপ কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। শুষ্ক মৌসুমে ক্যামেরাগুলো বসাতে হয়। বর্ষা মৌসুমে এই কাজ করা কঠিন।’

তিনি আরও জানান, ৪টি রেঞ্জের ৬৬৫টি গ্রিডে জোড়া ক্যামেরা বসানো হবে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ২০০টি, খুলনা রেঞ্জে ১৪০টি, শরণখোলা রেঞ্জে ১৮০টি, চাঁদপাই রেঞ্জে ১৪৫টি।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাঘের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ ও সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় গত বছরের ২৩ মার্চ ‘সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ৩৫ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর মধ্যে শুধু বাঘ শুমারি খাতে ব্যয় ধরা হয় ৩ কোটি ২১ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদ গত বছরের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত।

উল্লেখ্য, প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর জোট (আইইউসিএন) বাঘকে পৃথিবীতে অতি সংকটাপন্ন প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ১৩টি দেশে ৩ হাজার ৮৪০টি বাঘ রয়েছে। ২০১৫ সালে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি। আর ২০১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী বাঘের সংখ্যা ১১৪টি। তার মধ্যে পূর্ণ বয়স্ক ৬৩টি, ১৮টি ১২ থেকে ১৪ মাস বয়সী এবং ৩৩টি শাবক।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

আক্কেলপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

সুন্দরবনে বাঘ গণনা শুরু

আপডেট সময় : ১১:২০:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩

অবশেষে সুন্দরবনের বাঘ (রয়েল বেঙ্গল টাইগার) জরিপের কাজ শুরু হয়েছে। তৃতীয়বারের মতো বাঘ গণনায় ক্যামেরা ট্র্যাপিং রোববার থেকেই শুরু হয়েছে। বিকেলে সুন্দরবনের কালাবগি ফরেস্ট অফিস এলাকায় ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে এ জরিপ কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় বাঘ সংরক্ষণ কার্যক্রমে ভালো ফলাফলের আশা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সুন্দরবনে বাঘ সংরক্ষণে চলমান কার্যক্রমে ফলাফল ‘ভুল না সঠিক’ এ বিষয়ে বিশ্লেষণের জন্যই শুরু হয়েছে বাঘ জরিপ।

বন বিভাগ বলছে, জরিপ কাজে সুন্দরবনের ৬শ’৬৫টি গ্রীডে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি গ্রীডের দু’পাশে দুটি ক্যামেরা থাকবে। যা ৪০ দিন থাকবে। প্রতি ১৫ দিন অন্তর ক্যামেরার ব্যাটারি ও এসডি কার্ড পরিবর্তন করতে হবে। বাঘ গণনার ফল জানা যাবে ২০২৪ সালের জুন-জুলাইয়ে।

এবারই সুন্দরবনের চারটি রেঞ্জ এলাকা জরিপের আওতায় আসছে। এর মধ্যে আগামী মার্চ-এপ্রিল মাস পর্যন্ত খুলনা এবং সাতক্ষীরা রেঞ্জে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের কাজ চলবে। আর নভেম্বর-ডিসেম্বরে চাঁদপাই এবং শরণখোলা রেঞ্জে কাজ করা হবে। ফলে এ জরিপ কাজ বছর জুড়েই করা হবে।সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প পরিচালক ও সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন জানান, ‘সুন্দরবন অনেক বড় এলাকা। এক বছরের মধ্যে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে এই কাজ করা হবে। ৪৫০টি ক্যামেরা রয়েছে, সেগুলো দিয়ে মার্চের মধ্যে জরিপ কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। শুষ্ক মৌসুমে ক্যামেরাগুলো বসাতে হয়। বর্ষা মৌসুমে এই কাজ করা কঠিন।’

তিনি আরও জানান, ৪টি রেঞ্জের ৬৬৫টি গ্রিডে জোড়া ক্যামেরা বসানো হবে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ২০০টি, খুলনা রেঞ্জে ১৪০টি, শরণখোলা রেঞ্জে ১৮০টি, চাঁদপাই রেঞ্জে ১৪৫টি।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাঘের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ ও সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় গত বছরের ২৩ মার্চ ‘সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ৩৫ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর মধ্যে শুধু বাঘ শুমারি খাতে ব্যয় ধরা হয় ৩ কোটি ২১ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদ গত বছরের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত।

উল্লেখ্য, প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর জোট (আইইউসিএন) বাঘকে পৃথিবীতে অতি সংকটাপন্ন প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ১৩টি দেশে ৩ হাজার ৮৪০টি বাঘ রয়েছে। ২০১৫ সালে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি। আর ২০১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী বাঘের সংখ্যা ১১৪টি। তার মধ্যে পূর্ণ বয়স্ক ৬৩টি, ১৮টি ১২ থেকে ১৪ মাস বয়সী এবং ৩৩টি শাবক।