রুশ সংবিধান সংশোধন প্রশ্নে গণভোটে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষেই রায় দিয়েছে দেশটির সিংহভাগ ভোটার। প্রাপ্ত আংশিক ফলাফলে দেখা গেছে, বিপুল ব্যবধানে জিতেছে সংবিধান সংশোধন প্রস্তাব। ফলে আগামী ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে আর বাধা রইল না পুতিনের।
রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রায় ৮৭ শতাংশ ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে ৭৭ শতাংশের বেশি ভোট সংবিধান সংশোধনের পক্ষে গেছে। গতকাল ১ জুলাই ছিল গণভোটের শেষ দিন। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোটে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব জেতার সব আয়োজন শেষ করার পরই গণভোট আহ্বান করেছিলেন পুতিন।
সংবিধান সংশোধনে গণভোট পুতিনের পক্ষে যাওয়ায় আরো দুই মেয়াদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বৈধতা পাচ্ছেন তিনি। এর মানে হচ্ছে, ২০২৪ সালের পর আবারও নির্বাচনে জিতলে আরো ১২ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন পুতিন।
রাশিয়ার বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, এ বছর ক্ষমতা ত্যাগ করতে হতো পুতিনকে। এর আগে এ ধরনের পরিস্থিতিতে পুতিন চার বছরের জন্য ক্ষমতা দিয়েছিলেন বিশ্বস্ত দিমিত্রি মেদভেদের হাতে। কিন্তু এবার আর তা করেননি পুতিন। সরাসরি সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছেন পুতিন।
রাশিয়ার বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, এক ব্যক্তি টানা দুবারের বেশি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। তবে কখনো প্রধানমন্ত্রী আবার কখনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুই দশক ধরে ক্ষমতা আছেন পুতিন। গত জানুয়ারিতে আরো দুবার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের বিধান রেখে সংবিধান সংশোধনের খসড়ায় স্বাক্ষর করেন পুতিন। গতকাল ১ জুলাই গণভোট আয়োজনের কথা থাকলেও করোনাজনিত পরিস্থিতির কারণে ভিড় এড়াতে এক সপ্তাহ আগেই ভোটকেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়। গতকাল বুধবার ভোটগ্রহণ শেষে ফল প্রকাশ শুরু হয়েছে।