যুক্তরাষ্ট্রে নভেল করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫ লাখ ২ হাজার। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে এই সপ্তাহে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ওয়াশিংটন মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পর সর্বোচ্চ মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে ফ্রান্সে। দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় ৯৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও যুক্তরাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৯৮০ জনের। আর এ নিয়ে বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ৬শোর বেশি দাড়ালো। আর মোট আক্রান্ত প্রায় ১৭ লাখ।
ওদিকে ইতালিতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩মে পর্যন্ত করা হয়েছে। আয়ারল্যান্ডে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় লকডাউন চলবে আগামী ৫মে পর্যন্ত। তাই সংক্রমণ রোধে তুরস্কের আঙ্কারাসহ ৩১ শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
এদিকে, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে লকডাউনসহ জারি করা বিধিনিষেধগুলো দ্রুত প্রত্যাহার করা হলে ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গতকাল শুক্রবার জেনেভায় এক ডিজিটাল সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেন সংস্থাটির পরিচালক।
ইউরোপের দেশ স্পেন ও ইতালিসহ বেশ কটি দেশে করোনা সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা কমে গেলেও দেশগুলোকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। আর অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হলেও বিধিনিষেধ শিথিল করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
তা না হলে আবার বাড়তে পারে সংক্রমণের হার বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির পরিচালক টেড্রোস অ্যাডানম গ্যাব্রেসেস। তাই বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের ভেবেচিন্তে পরিকল্পনা নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
অন্যদিকে আফ্রিকার দেশগুলোতে সংক্রমণ বাড়ছে। সেখানে স্বাস্থ্যব্যবস্থার ঘাটতিতে পরিস্থিতি বেশি খারাপ হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।