ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দুস্থ জনগনের মাঝে সরকারি ত্রাণ সহায়তা সঠিকভাবে পৌছে দিতে অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়িত্ব দেয়া দাবী জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ বলেছে, দুস্থমানুষের ত্রান আত্মসাৎকাীরা রাষ্ট্র-সমাজ ও জনগনের দুশমন।
এই সকল ত্রান আত্মসাৎকারী জনদুশমনরা যে দলের বা মতেরই হোক না কেন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলত শাস্তি প্রদান করা উচিত। সরকারেরও মনে রাখা উচিত এই সকল জনদুসমনদের কারণেই সরকারের সকল ভাল অর্জন ম্লান হয়ে যায়।
রবিবার (১২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ দাবী জানান।
তারা বলেন, যারা দেশের এই সংকটকালীন ও দুর্যোগকালীন সময় অসহায় মানুষের ত্রাণ আত্মসাৎ করতে পারে, তারা আর যাই হোক মানুষ হতে পারে না। এরা মানুষরূপী জানোয়ার, দেশের শত্রু, মানবতার শত্রু। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী, পুলিশ, ডাক্তার-নার্সসহ বিভিন্ন লোকজন চরম ঝুঁকি নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
ত্রানের দায়িত্বও দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খরা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকটই অর্পন করা উচিত। এতে করে হতদরিদ্র মানুষ, বেকার শ্রমিকরা উপকৃত হবে এবং জনগণও শান্তিতে থাকবে।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রান যাতে কেউ আত্মসাৎ করতে না পারে সেজন্য সরকারকে আরো বেশী কঠোর হতে হবে। কোনো ব্যক্তি বা জনপ্রতিনিধির নামে অভিযোগ উঠলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অসহায় মানুষের জন্য সরকার যে ত্রাণ বরাদ্দ দিয়েছে তা গুটি কয়েক লোকের দুর্নীতির কারণে জনগনের কাছে না পৌছলে সরকারের সকল প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে পড়বে। আর এই ব্যর্থতার মাসুল সরকারকেই দিতে হবে।
দেশবাসী প্রতিদিন গণমাধ্যমে যে পরিমাণ করোনা রোগীর তালিকা পাচ্ছে, তার চাইতে বেশি পাচ্ছে ত্রানের চাল চোরের সংখ্যা উল্লেখ করে নেতৃদ্বয় এই দুর্নীতির ঘটনার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দল না দেখে, মুখ না দেখে এসব দুর্নীতিবাজ, চোর, আত্মসাৎকারী, কালোবাজারি, মজুদদারদের মোবাইল কোর্টে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জোর দাবি জানান।