করোনায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি জনজীবন, দিন যাচ্ছে চ্যালেঞ্জ বাড়ছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, সময়ের ব্যবধানে মানুষের খাদ্য সংকট ক্রমশই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।
ত্রাণের জন্য হাহাহকার ইতোমধ্যেই লক্ষণীয়। করোনা ভয় উপেক্ষা করে ত্রানের জন্য বিক্ষোভই তার প্রমান। দিশেহারা সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদোক্তা, যারা খাদ্য উৎপাদান, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বিপণনের সঙ্গে যুক্ত তারা সবচেয়ে হুমকির মুখে বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, হাতে সময় ভুব বেশি নাই। যা করবার দ্রুত করতে হবে। যেকোনো মূল্যে খাদ্য প্রক্রিয়া ও প্রবাহ অব্যাহত রাখার সকল কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে সরকারকে। মনে রাখতে হবে মানুষ গৃহবন্দি।
এই অবস্থা দীর্ঘমেয়াদি হলে মহাবিপদ চলে আসতে পারে। আর সে বিপদ মোকাবিলায় এখনই ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে মহাপির্যয়ের মুখোমুখি হবে দেশ। যে কোন মূল্যে খাদ্য সংগ্রহ এবং সরবরাহ বজায় রাখতে হবে।
তারা আরো বলেন, গ্রামাঞ্চলে কৃষক ফসলের মূল্য পাচ্ছে না। ফল, শাক-সবজি পচে যাচ্ছে। আর শহরের মানুষেরা তা পাচ্ছি না। এমন পরিস্থিতিতে সবাই বিপদগ্রস্ত থাকে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিশাল একটি অংশ দিন আনে দিন খায়। এই জনগোষ্ঠীর খাদ্য সংকটকাল যাচ্ছে এখন। তাদের সংকট কাটাতে বড় ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে।
এ ছাড়াও র বাইরে আরেকটি বড় জনগোষ্ঠী রয়েছে যারা ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তা। তারা চাইলেই হাত বাড়াতে পারেন না। আর হাত তারা বাড়িয়েও এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন না। এ রকম লাখ লাখ উদ্যোক্তা মানুষ রয়েছেন যাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে, আয় নেই। এদের বেশিরভাগই অনানুষ্ঠানিক। এরাই মূলত বড়ধরনের ধাক্কা খাবেন আগামীতে। এদের বাঁঁচিয়ে রাখতে না পারলে সমাজ ও অর্থনীতি টিকে থাকবে না।