লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল বলেছেন, জাতির এই ক্লান্তিলগ্নে আওয়ামী লীগের নেতারা যখন চাল, ডাল, তেল চুরিতে ব্যস্ত ঠিক তখনই সরকারের জন্য আলোর দিশারি হয়ে দেখা দিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশের জন্য আল্লাহর আর্শিবাদ। অথচ আমরা তাকে মুল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছি। তিনি এমন একজন গুণীজন যাদের জন্ম বারে বারে হয় না। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সম্মান করুন, তাকে মূল্যায়ন করুন।
তিনি বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন।
মুক্তিযোদ্ধা ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল বলেন, বলতে লজ্জা নেই সরকারের আমলেই তার বিরুদ্ধে মাছ চুরির দায়ে মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তোলা হয়েছে। অথচ জাতির এক চরম দুর্যোগের মুহুর্তে কান্ডারীর ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। মহান মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি যোদ্ধা। রণাঙ্গনে ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে প্রাণ বাঁচিয়েছেন অসংখ্য আহত ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার। স্বাধীন দেশে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন গণমানুষের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর গ্রামে ফিরে গিয়ে স্বাস্থ্যযুদ্ধ শুরু করেন।
মুক্তিযুদ্ধের ফিল্ড হাসপাতালটি গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র নামে গড়ে তুলেন কুমিল্লায়। পরে সেটা স্থানান্তর করেন ঢাকার অদূরে সাভারে। এ ‘গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র’ নামটি দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু দু:খজনক বর্তমান সরকার এমন কোনো ষড়যন্ত্র বাকি রাখেনি যা দিয়ে তাকে অপমান অপদস্ত করা যায়।
বেঙ্গল আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণ বাঁচাতে একাত্তরে বিদেশের নিরাপদ জীবন ছেড়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী চলে এসেছিলেন রণাঙ্গনে, প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হাসপাতাল।
আজও জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে তার প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র স্বল্প মূল্যের করোনাভাইরাস টেস্ট কিট আবিষ্কার করে দেশের ও মানুষের প্রতি তার ভালোবাসার প্রমাণ দিলেন। তাই বলছি, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সম্মান করুন। তার মতো একজন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধার অপমান মুক্তিযোদ্ধারা কখনো সহ্য করবে না।