নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড -১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজধানীর দুইটি হাসপাতালে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) দিয়েছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গাজী গ্রুপ।
গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব গোলাম দস্তগীর গাজী, বীর প্রতীক এম.পি. এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এই পিপিইগুলো প্রদান করা হয়। পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল এবং জরুরী সেবায় নিয়োজিতদের জন্য এই সকল জীবন রক্ষাকারী সামগ্রী প্রদান করা হবে।
মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীনের হাতে ৯৫ সেট পিপিই তুলে দেওয়া হয়। অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি অন্য সবারও এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) উদ্যোগ নিয়ে আমাদের জন্য মানসম্মত পিপিই সরবরাহ করেছেন। তার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। সম্প্রতি সরকার আমাদের হাসপাতালে কোভিড-১৯ চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেই প্রস্তুতিতে সহায়তা করায় গাজী গ্রুপকে ধন্যবাদ। আশা করি সবাই মিলে আমরা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সক্ষম হব।
এদিকে জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পক্ষে পিপিই বুঝে নেন প্রতিষ্ঠানটির রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুর রউফ। হাসপাতালটির মেডিসিন ও সার্জারি ইউনিটে ৯০ পিস পূণাঙ্গ পিপিই প্রদান করা হয়। এসময় অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রউফ বলেন, বাংলাদেশে এখন কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এমন অবস্থায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
আমাদের হাসপাতালে আমরা সবসময় শ্বাসকষ্ট, সিওপিডি, অ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা প্রদান করি। এসব রোগের উপসর্গ কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যেও দেখা যায়। আর তাই আমাদের এই হাসপাতালটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি বলেন, কোভিড -১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য চিকিৎসকসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) পিপিই সরবরাহ করেছেন ।
আমরা আরও জেনেছি, তার উদ্যোগেই দেশে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পরীক্ষার জন্য প্রথম কোনো বেসরকারি আরটি-পিসিআর (রিভার্স ট্রান্সক্রিপ্ট পলিমারেজ চেইন রিয়্যাকশন) ল্যাব প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে তাই আমি ব্যক্তিগতভাবেও তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা আশা করব, দেশের অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও করোনার এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসবে।