বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) মৃতের সংখ্যা এক লাখ ৮৪ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ লাখের বেশি। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ২ হাজার ৩শ’রও বেশি। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ছাড়ালো সাড়ে ৪৭ হাজার।
করোনাভাইরাসের মহামারি আরো দীর্ঘায়িত হওয়ার শঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন প্রত্যাহার করা হলে ঝুঁকির মাত্রা আরো বাড়বে বলে সতর্ক করেছেন সংস্থাটির প্রধান।যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগির সন্ধান মেলে ২১ জানুয়ারি। এর প্রায় একমাস পর ২৬ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা হয় প্রথম প্রাণহানির কথা। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান্টা ক্লারা কাউন্টি কর্তৃপক্ষের দাবি যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় প্রথম দুই ব্যক্তির মৃত্যু ৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি।
যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত নিউ ইয়র্কে। সংক্রমণ রোধে স্থানীয় সরকার জারি করে লকডাউন। কিন্তু গৃহবন্দি থাকতে রাজি নন অনেক বাসিন্দা।
স্পেনে এখনো পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮ হাজার ৩৮৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৭১৭ জনের।
ইতালিতে করোনাভাইরাসে প্রাণহানির সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন আরও ৪৩৭ জন। অবশ্য আগের দিনের তুলনায় সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। মঙ্গলবার ইতালিতে ৫৩৪ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল সিভিল প্রোটেকশন এজেন্সি। দেশটিতে এখনো পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩২৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ৮৫ জনের। ইতালিতে এ পর্যন্ত অন্তত ৫৪ হাজার ৫৪৩ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন
জর্জিয়া প্রথম রাজ্য হিসেবে শিথিল করেছে বিধি নিষেধ। কিন্তু এখন এই পদক্ষেপের বিরোধীতা করেছেন ট্রাম্প। তার মতে কড়াকড়ি শিথিলে তাড়াহুড়ো করেছেন জর্জিয়ার গভর্নর।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ব্রঙ্কস চিড়িয়াখানায় আরো ৭ বাঘের শরীরে মিলেছে ভাইরাস। এপ্রিলের শুরুতে ৩টি বাঘ ও ৩টি সিংহের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়।
এদিকে তৃতীয় দফায় ৯ মে পর্যন্ত জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ালো স্পেন। এক বিবৃতিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশ্বস্ত করেন প্রেসিডেন্ট পেড্রো স্যানচেজ।
২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাজ্যে ৭৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ছাড়ালো ১৮ হাজার। নতুন আক্রান্ত প্রায় সাড়ে চার হাজার। এমন পরিস্থিতিতে আজ যুক্তরাজ্য, প্রথমবার মানবদেহে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে যাচ্ছে।
লাতিন আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতে বেড়েই চলেছে সংক্রমণ। বুধবার একদিনে দেশটিতে এক হাজারেরও বেশি মানুষ শনাক্ত হয়েছেন। এতে দেশটিতে সংক্রমিতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ হাজার।
দেশজুড়ে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে জার্মানি। গত সপ্তাহে লকডাউন শিথিলের ঘোষণার সময় মাস্ক পরার ওপর জোর দেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল।
লকডাউন কার্যকরে ৭০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে সাউথ আফ্রিকা। দেশটিতে এপর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। প্রাণ গেছে অর্ধশতাধিকের।
এদিকে চীনে বুধবার নতুন করে ১০ জনের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাস। এরমধ্যে ৬জনই বিদেশ থেকে ফেরা আর ৪ জন স্থানীয়।