নীলফামারীর সৈয়দপুরে নোভেল করোনা ভাইরাস পজেটিভ রোগীর বাড়িসহ আশেপাশের ৪টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। অপরদিকে করোনাক্রান্ত হওয়ার কথা গোপন করে বাড়িতে অবস্থানকারী জাহাঙ্গীর আলম নামের ওই ব্যক্তিকে মঙ্গলবার রাত ৪ টার দিকে শহরের কাজিপাড়া থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম পার্শ্ববর্তী রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সø মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। করোনা প্রাদূর্ভাবের পর থেকে তিনি সন্দেহভাজনদের করোনা নমুনা সংগ্রহের কাজ করছিলেন। গত ২৭ এপ্রিল সন্ধায় তাদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলমসহ ২ জনের টেস্ট রেজাল্ট পজেটিভ আসে।
এলাকাবাসী জানায়, সৈয়দপুর শহরের কাজিপাড়া পানির ট্যাংকির পূর্বপাশের এক বাড়িতে তিনি স্বপরিবারে ভাড়া থাকেন।
তিনি প্রতিদিন তাঁরাগঞ্জ থেকে সৈয়দপুরে যাতায়াত করতেন এবং সৈয়দপুরের বাজারেই নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী কিনতে যেতেন। বিষয়টি জানতে পেরে প্রশাসনের সহযোগিতায় গত রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে তার বাড়ি থেকে তাকে করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে রাত ৪ টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সে সাথে পরিবারের অন্যান্য ৪ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদেরর নমুনা সংগ্রহ করে রংপুরে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর করোনা ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডাঃ মোঃ শহিদুজ্জামান জানান, করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে হয়তো তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু বাড়িতে অবস্থান করে পরিবারের সকলকেই ঝুঁকিতে ফেলেছেন। যে কারণে এখন তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হবে। সে সাথে তার বিগত কয়েকদিনের ইতিহাস সংগ্রহ করা হবে। এতে আরও কেউ তার সংস্পর্শে এসে থাকলে তাদেরকেও পরীক্ষার আওতায় আনা হবে।
এছাড়াও ইসলামী ব্যাংক সৈয়দপুর শাখা লকডাউন করা হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল কোয়ারেন্টাইনে থাকা এই শাখার ১১জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নমুনা সংগ্রহ করবে স্বাস্থ্য বিভাগ।