কলাপাড়ার মহিপুর সদর ইউনিয়নের ১১০০ প্রান্তিক জেলের ৮৮ মেট্রিক টন ভিজিএফ’র চাল বিতরন নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রতিকুলতা। দেশের মৎস্য সম্পদ ইলিশ রক্ষায় জাটকা আহরন নিষিদ্ধ সময়ে তালিকাভুক্ত প্রান্তিক জেলেদের পরিবার প্রতি ৪০ কেজি হারে এপ্রিল-মে দুই মাস খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে সরকার।
কলাপাড়ার দু’টি পৌরসভা ও ১২ইউনিয়নে ফেব্রুয়ারী-মার্চ মাসে ভিজিএফ’র চাল পায়নি এমন প্রান্তিক জেলেদের নামের তালিকা তৈরী করে তা জমা দিতে বলা হয়েছে। এরপর মৎস্য বিভাগের বিভাজন অনুযায়ী বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলন করে তদারকি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জেলেদের মাঝে বিতরনের জন্য বলা হয়। চাল বিতরনে শতভাগ স্বচ্ছতার পরিকল্পনা অনুসৃত হওয়ায় এবং চাল পরিবহনের জন্য আলাদা খরচের কোন বরাদ্দ না থাকায় চাল বিতরন নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে অনাগ্রহ দেখা দিয়েছে।
মহিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আ: ছালাম আকন অসুস্থ্যতার জন্য চিকিৎসা নিতে পরিষদে সভা ডেকে রেজুলেশন করে প্যানেল চেয়ারম্যানকে বিতরনের দায়িত্ব দিয়ে ওই রেজুলেশনের কপি ইউএনও কার্যালয়ে পৌঁছে দেন।
মহিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আ: ছালাম আকন বলেন, আমি অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য বরিশালে আছি। পরিষদে রেজুলেশন করে প্যানেল চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব অর্পন করে তা ইউএনও কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে।
কলাপাড়া খাদ্য গুদাম’র সহকারী উপ-খাদ্য পরিদর্শক মো: জাকির হোসেন বলেন, কলাপাড়া পৌরসভা, কুয়াকাটা পৌরসভা, টিয়াখালী, মিঠাগঞ্জ ও বালিয়াতলি ইউনিয়ন পরিষদ ভিজিএফ’র এপ্রিল-মে’২০২০ বরাদ্দের চাল গ্রহন করেছে। অন্যরা এখনও গ্রহন করেনি।
ইউএনও আবু হাসনাত মোহম্মদ শহিদুল হক বলেন, মহিপুর ইউপি চেয়ারম্যান’র অনুপস্থিতিতে প্যানেল চেয়ারম্যানকে চাল গ্রহন করে বিতরনের জন্য বলার পর তিনি অপরগতা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া চেয়ারম্যান’র ছুটি সংক্রান্ত রেজুলেশন পাওয়া গেলেও তারা অবগত নন বলায় চেয়ারম্যানকে চাল বিতরনের পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে। সংকট উত্তরনে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বলেন তিনি।