কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পারিবারিক কলহের জেড়ে পিতার লাঠির আঘাতে পূত্র আহসান হাবীব সানু (৩২) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের চান্দামারী ঝাকুয়াটারী গ্রামে।
গুরুতর আহত সানু অদ্য শুক্রবার (১মে) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় পলাতক রয়েছে, ঘাতক পিতাসহ সকল নিকট আত্মীয়রা। নিহত যুবক চান্দামারী উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন কৃষি বিষয়ক শিক্ষক বলে জানা গেছে। মৃত সানুর ৬ মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, আহসান হাবীব সানু’র মা মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করে তার বাবা আব্দুল হাই ঝুনু ! এরপর হতে মায়ের সাথে তাদের দ্বন্ব শুরু হয়। এছাড়াও পারিবারিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ক্বওমী মাদ্রাসা’র আয়-ব্যয় নিয়েও ছিল তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। গত সপ্তাহে আহসান হাবীব সানুর সাথে তার সৎ মাতা লাকি বেগমের কথাকাটি হয়। এনিয়ে রাগ করে বাপের বাড়ি চলে যান লাকি বেগম।
এই কলহ মেটাতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নিহতের পিতা আব্দুল হাই ঝুনু, চাচা বাচ্চু মিয়া, চাচাতো ভাই মাহবুরসহ বাড়ির উঠোনে বৈঠক চলছিল। এরই এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে পিতা আব্দুল হাই ঝুনু লাঠি দিয়ে আহসান হাবীব সানুর উপর ঝাঁপিয়ে পরে। এসময় সানু’র স্ত্রী নিপা এগিয়ে এলে তাকেও মারধোর করা হয়। বেধড়ক মারপীটে আহসান হাবীব সানু গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পরলে তাকে প্রথমে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বৃহস্পতিবার বিকেলেই উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুর ১২টায় তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ কৃঞ্চ কুমার সরকার জানান, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীনে রয়েছে।