একটি গাছের শিখর না থাকলে গাছটির ডালপালাও মরা শুরু করে। কিন্তু শিখর যদি মজবুত হয়ে আকরে থাকে তাহলে ডালপালাগুলোই তরতাজা সতেজ থাকে। ঠিক একটি রাজনৈতিক দলের অবস্থাও এমনটিই বলা যায়। ঠিক রাজশাহীর তানোর উপজেলা আ”লীগের সভাপতি মেয়র গোলাম রাব্বানী ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন এই উপজেলার তৃনমূল আ”লীগের শিখর বলে মনে করেন। যাদের মাধ্যম দিয়ে উপজেলা জুড়ে ছড়িয়ে আছে হাজারো ডালপালা। শিখর থাকলে ডালপালা থাকবেই।
সুতরাং তাদেরকে নিজ দলের ক্ষমতা লোভী একশ্রেণী তাদেরকে দল থেকে দূরে রেখেছেন। ফলে দলেরও অবস্থা নাজুক।যে যার মত নেতা হয়ে বসে আছে। নেই কোন ধরনের চেইন অব কমান্ড। এজন্য দলের অবস্থাও হযবরল। দলকে একত্রিত করতে মেয়র রাব্বানী ও মামুনের কোন বিকল্প নেই। ফলে এক ব্যাক্তি দিয়ে কখনো দল পরিচালনা হয়না। আজ তাফের ক্ষমতার চেয়ার আছে বলেও যা ইচ্ছে তা করে যাচ্ছেন। কিন্তু যে দিন ক্ষমতার চেয়ারটি সরে যাবে তাকেও পাওয়া দুরুহ ব্যাপার হয়ে পড়বে বলে মনে করেন তৃনমূলের শতশত নেতাকর্মীরা। তানোর আ”লীগের শুক্র আ”লীগ । নিজের মধ্যে ঐক্য না থাকলে ভবিষতে এর মাসুল দিতে হবে চরম ভাবে।
দলীয় সুত্র জানায় দীর্ঘপ্রায় চার থেকে পাঁচ বছর ধরে উপজেলা আ”লীগের সভাপতি মুণ্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানীকে দূরে রেখেছেন স্থানীয় সাংসদ ফারুক চৌধুরী। কারন একটাই মেয়র রাব্বানী ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মনোনায়নের দাবি তুলে গণসংযোগ শুরু করেন। এজন্য মেয়র রাব্বানীর উপর চলেছে ব্যাপক নির্যাতন। কিন্তু সে সময় সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন ছিলেন সাংসদের একনিষ্ঠ নেতা। পরে আসে উপজেলা নির্বাচন। এনির্বাচনে মনোনায়নের দাবি তুলেন মামুন। কিন্তু সাংসদ মামুন কে না দিয়ে কলমা ইউপির চেয়ারম্যান সাংসদ ভাতিজা লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নাকে দেন মনোনায়ন। কিন্তু তৃনমূলের নেতা কর্মীরা কোন ভাবেই এটা মেনে নিতে পারেনি। কারন ময়না চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন, আর মামুনের কোনই চেয়ার নেই।
তিনিই প্রাপ্য ছিলেন মনোনায়নের । তারপরও মামুন ময়নার ভোট করেন জোরালো ভাবে। গত জেলা কাউন্সিলের পর থেকে সাংসদ মামুন কেও ছিটকে ফেলেন। এরপর সভাপতি সম্পাদক এক কাতারে আসেন। আগমন ঘটে হাট ব্যবসায়ী পবা উপজেলা আ”লীগের সহসভাপতি আবুল বাসার সুজনের। তাকে তানোর পৌর নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবেও ঘোষণা করেন সাংসদ। এমনকি মুজিব বর্ষে গোল্লাপাড়া মাঠে এক সভায় সাংসদ নিজেকে সিংহের বাচ্চা আর সুজনকে বাঘের বাচ্চা বলে বক্তব্য রাখেন। যা সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া শুরু হয়। এসব কথা দিয়ে বক্তব্য রাখায় পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন জেলার নেতা চঞ্চল কে গাড়িতে উঠার সময় বলেন ওরা যদি বাঘ শিংহের বাচ্চা হয় আমরাও গণ্ডারের বাচ্চা।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যখন বিশ্ব মোড়লদের জব্দ করে ফেলেছে। এক করোনা বিশ্বকে থমকে দিয়েছে। থেমে নেই বাংলাদেশের অবস্থাও। গত কয়েক দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। গত ১০ মে থেকে লকডাউন শিথিল এবং সীমিত পরিসরে মার্কেট খোলার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যার ফলে রোগীর হারও বেড়েই চলেছে। করোনা মোকাবেলায় সরকার সারা দেশে গরীব দুঃখী অসহায় নিম্ম আয়ের, দিন মজুরদের জন্য দেয়া শুরু করেন ত্রান এবং দলমত নির্বিশেষে ত্রান কমিটি গঠন করে সবার ঘরে ত্রান পৌছানোর জন্য নির্দেশনা দেন।
সর্বশেষ ৫০ লাখ পরিবারকে ২৫০০ টাকা করে মানবিক সহায়তার প্যাকেজ ঘোষণা করে অনেক এলাকায় মোবাইল ব্যাংকিঙয়ের মাধ্যমে দেয়া শুরু হয়েছে। এউপজেলায় এই কার্ডের বরাদ্দ আসে ৫ হাজার ২০০। ইতিপূর্বেই এ কার্ড তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এসব ত্রান মানবিক সহায়তা থেকে শুরু করে কোন কাজে ডাকা হয়নি সভাপতি ও সম্পাদককে। তৃনমূলের দাবি অন্তত এই দুর্যোগ কালীন সময় সবাই এক সাথে নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করলে সবার ঘরেই সরকারি অনুদান পৌছে যেত। কিন্তু শুধু মাত্র দুই ক্ষমতাধর ব্যাক্তির অনুসারিরাই পেয়ে যাচ্ছেন ত্রান।
বিএনপিসহ অন্যরাতো পাচ্ছেন না বরং সভাপতি সম্পাদকের অনুসারিরাও পাচ্ছেনা এমন তৃনমূলের নেতা কর্মীদের। তবে নিজের অর্থে সভাপতি মেয়র রাব্বানী প্রথম থেকে তাঁর পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন এবং তাঁর অনুসারী মুণ্ডুমালা আ”লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ঠিকাদার সাইদুরকে দিয়ে পৌর এলাকায় প্রায় সব ঘরে খাদ্য এবং এখন ঈদ সামগ্রী বিতরণ শুরু হয়েছে। সাত ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভা নিয়ে গঠিত উপজেলা। সাত ইউনিয়ন এবং এক পৌরসভায় ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান, শুধু মাত্র তানোর পৌরসভায় রয়েছে বিএনপির চেয়ারম্যান।
তারপরও ক্ষমতার ভারে ভারাকান্ত হয়ে লবিং গ্রুপিং এর শেষ নেই আ”লীগের মধ্যে। দিনের দিন বিভেদ প্রকট আকার ধারন করছে। এমনকি যারা জন্মগত আ”লীগ তাঁরা সভাপতি সম্পাদকের হয়ে থাকলেও অনেকে ভয়ে মুখ খুলেন না।
এনিয়ে উপজেলা আ”লীগের সভাপতি ক্লিন ইমেজের রাজনীতি বিধ মুণ্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানী জানান আমি সভাপতি থাকার পরও শুধু প্রতি হিংসা ক্ষমতার দাপটে আরেকজন কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করেছেন। শুধু তাই না দীর্ঘ প্রায় চার থেকে পাঁচ বছর ধরে দলীয় কোন কর্মকাণ্ডে আমাকে আহবান করা হয়না। দেশের এই দুর্যোগের সময়ও আমাকে বেকায়দায় ফেলতে তাদের অনুসারি দিয়ে নানা প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন।
দেশরতœ শেখ হাসিনার নির্দেশে নিজের অর্থে প্রথম থেকে এপর্যন্ত খাদ্য সামগ্রী এবং ঈদ সামগ্রী দিয়ে যাচ্ছি। আর তাঁরা চেয়ারে বসে থেকে কোটা নিয়ে খেলা শুরু করেছেন। আবার দেশরতœ বলছেন নিজ নির্বাচনী এলাকায় থেকে নিয়োমিত ভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে হবে। কিন্তু সাংসদ কে প্রায় দুই মাস পর দেখা গেল। তিনি কোথাই ছিলেন, জনগণের পাশে না থেকে কি করছিলেন এসব নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। আজ তো তানোর আ”লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠন গুলোর কি অবস্থা তা সবাই জানে।
কিন্তু এই সময়ও আমাকে বিপদে ফেলতে এবং হেয় করতে তাদের অনুসারি দিয়ে নানা পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু উপজেলা আ”লীগ জানে রাব্বানী কতটা দুর্নীতিবাজ কতটা কর্মী বান্ধব । আজ যারা ক্ষমতার চেয়ার পেয়ে নিজেদেরকে বিশাল কিছু ভাবছেন এবং মনে করছেন সারা জীবন চেয়ার থাকবে। তাঁরা কার হাতে গড়া।
ধ্রয্য ধারন করলে সবই আগামীতে দেখা যাবে। যারা একক আধিপত্য করছেন তাঁরা নিজেরা তাদের অর্থ খরচ করে কত ব্যাক্তিকে খাদ্য দিয়েছেন সবই তো জানা। কারা পাচ্ছে কারা পাচ্ছেনা আগামীতেও এর জবাব নেয়া হবে ইনশায়াল্লাহ। তাঁরা নিতে জানে দিতে জানেনা। আর মাহাম পরিবার আ জীবন অসহায় মানুষকে দিয়ে আসছে এবং যতদিন বেঁচে থাকব আল্লাহ যেন মানুষের সেবা করার তৌফিক দেন। আমি শোষক হয়ে বাঁচতে চাইনা সেবক হয়ে বাঁচতে চাই।