দিনাজপুরে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের অফিস সহকারীসহ ১৮জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ ১৫জন এবং নারী ৩জন রয়েছেন। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৫০বছর। তারা হোম আইসোলেশনে রয়েছে। আক্রান্তের মধ্যে জেলার ঘোড়াঘাটে ১৫, বিরল-১, ফুলবাড়ী-১ ও নবাবগঞ্জ-১ জন রয়েছে।
এনিয়ে দিনাজপুরে করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮২জন। যার মধ্যে পুরুষ ৬২জন, নারী ১৭জন ও শিশু ৩জন রয়েছে। এর মধ্যে হোম আইসোলেশনে আছে ৬০জন, প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রয়েছেন-৩জন, হাসপাতালে ভর্তি ৫জন, সুস্থ্য হয়েছেন ১৩জন এবং মারা গেছেন একজন। নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুছ।
ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প. প. কর্মকর্তা ডাঃ নুর নেওয়াজ জানান, ঘোড়াঘাটে আক্রান্ত ১৫জনের মধ্যে ৭জন ঢাকা ফেরত। এ নিয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলায় কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) আক্রান্ত সংখ্যা ১৯ জন। ওই সব বাড়িসহ আশে পাশের ১৬টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণাসহ খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
অপরদিকে, নবাবগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ শাহাজাহান আলী জানান, নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের অফিস সহকারী একজনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায় গত শনিবার রাতে। আর অফিস সহকারী আরেকজনের রিপোর্ট এসেছে গত শুক্রবার রাতে। তিনি আরও জানান, এদের একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং আরেকজন নিজ বাড়ীতে আছে। একজনের বাড়ী বিরামপুর উপজেলা সদরে আর অন্যজন নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদনগর ইউনিয়নের রাঘবেন্দ্রপুর(সোনাতলা) গ্রামে।
শনিবার রাতে প্রাপ্ততত্তে দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুছ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১৪৭জনের নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৮জনের নমুনায় করোনা পজিটিভ ও ১২৯টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। এ পর্যন্ত ১৯২৪টি নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৮৮৮টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ৮২জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় গত ২৪ঘন্টায় হোম কেয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে ২৭৯জন এবং বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১৯৫৮জন।