ঈদের দিন রাত ১০ টায় আরটিভিতে ইমরাউল রাফাত রচনা ও পরিচালনায় নাটক ”ঈদ মোবারক” অভিনয়ে: মোশাররফ করিম, নুসরাত ইমরোজ তিশা প্রমুখ।
সংক্ষেপে গল্পঃ গোলাপ,মধ্য বয়সী একজন পুরুষ। পেশায় একজন ব্যাকগ্রাউন্ড আর্টিস্ট। কখনো কাজ মিল্লেও মাসের বেশির ভাগ সময় বেকারই থাকেন তিনি। গোলাপের বন্ধু মুকুল, দেখতে ছেলেদের মত হলেও আচরণ মেয়েদের মত। মুকুল গোলাপের সাথে ইঋউঈ তে কাজ করে ব্যাকগ্রাউন্ড আর্টিস্ট হিসেবে। কিছুদিন আগে তারা একটি সিনেমার কাজ পেয়েছে প্রডাকশন ম্যানেজার ১০ দিনের শিডিউলও নিয়েছে। ঈদের আগে আগে এইরকম একটা কাজ পাওয়া মানে ঈদটা পরিবারের সাথে ভালো ভাবে কাটানো। এই বিষয়টি চিন্তা করে গোলাপ এবং মুকুল দুইজনই বেজায় খুশি। কিন্তু তার কয়েকদিনের মধ্যেই প্রোডাকশন ম্যানেজার গোলাপ ও মুকুলকে জানায় যে, নায়িকার কুকুর মারা যাওয়ার কারনে সিনেমার কাজ বন্ধ। মন খারাপের অন্ত নেই দুইজনের।
হালিম, পেশায় একজন পকেট মার। বাসে পকেট মারতে গিয়ে ধরা পরলে বাসের পাবলিক বেধরক মারতে থাকে মুকুলের বন্ধু হালিমকে। সেসময় গোলাপ এবং মুকুল সেই ভয়াবহ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে হালিমকে। কথায় আছে বেকার মস্তিস্ক শয়তানের আড্ডা। এই উক্তিটির সাথে হুবুহু মিলে যায় তাদের প্লানিং। কারন তারা প্লানিং করেছে, ঈদের দিন কোনো এক ফাকা বাড়িতে ডকাতি করে ঈদের পরের দিন নিজ নিজ স্বজনদের কাছে ফিরে যাবে। যেই ভাবনা সেই কাজ। তিনজনের নির্বাচিত বাড়ি, তথা রফিক সাহেবের বাড়িতে তারা ডাকাতি করবে। রফিক সাহেব ইমার্জেন্সি কাজে দেশের বাইরে গিয়েছেন, বাসায় রেখে গেছেন, এক মাত্র কন্যা পম্পি, ড্রাইভার সেলিম, ও কাজের মেয়ে জরিনাকে।
পম্পি, যথেস্ট সুন্দরি ও বুদ্ধিহীন একটি মেয়ে। বুদ্ধিহীন বলতে সাধাসিধে বলতে যা বোঝায়। দেখতে মেচিউর মনে হলেও বুদ্ধি তার হাটুর নিচে। সেলিম ও জরিনা চাঁদ রাতে পম্পিকে ইমশনালী ব্ল্যাকমেইল করে নিজ নিজ গ্রামে ফিরে গেছে। ঈদের দিন পম্পি বেশ সেজেছে, নতুন জামা পরেছে। সেমাই, পায়েশ আরও কত কি রান্না করেছে, সে নিজে নিজেই খাচ্ছে এবং নিজেই নিজের রান্নার প্রশংশা করছে। এই দিকে ডাকাত দল বাসার দরজায় এসে হাজির। পম্পির বাবার পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢুকে পরলো তারা। সাধাসিধে পম্পিকে পটাতে কোনো ধরনের বেগই পেতে হয়নি তাদের।
বাবার গেস্টকে নানাবিধ আপ্যায়ন শুরু করে পম্পি। এক পর্যায়ে তারা শিকার করে তারা ডাকাতি করতে এসেছে এই বাড়িতে। অত;পর শুরু হয় অর্থ খোজাখুজি। পম্পি দুপুরে পোলাও মাংশ রান্না করে খাওয়ায় ডাকাতদের। ডাকাতদল ইমোনাল হয়ে পরে এবং নিজ নিজ পরিচয় এবং সকল সত্যি খুলে বলে। পম্পি অদের তিনজনকে বাড়িতে পৌছে ঈদ উৎযাপন করার জন্য টাকা দেয় এবং তিনজনকেই আলাদা আলাদা কর্ম প্রদান করে।