করোনা মহামারীর এ পরিস্থিতিতে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম একক কর্তৃত্ব চালাচ্ছে ও বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত পৌরবাসীর মুখোমুখী দাঁড় করিয়েছে কাউন্সিলরদের এমন অভিযোগ এনে পৌর কাউন্সিলররা সংবাদ সম্মেলন করেছে। এভাবে চলতে থাকলে আন্দোলনসহ কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া বলেও হুসিয়ারী দেন তারা।
গতকাল সোমবার দিনাজপুর পৌরসভার কাউন্সিলর অডিটোরিয়ামে কাউন্সিলরদের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌর প্যানেল মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল।
এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন করোনার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বারং বার বলার পরেও পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম কোন মাসিক সভা ডাকেন না। এছাড়াও তিনি গত তিনমাস যাবত পৌরসভার কোনো নিয়মিত সভা আহবান করেননি, যে কারনে পৌরবাসীর সমস্যা এবং সম্ভবনা নিয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব হয়নি।
কাউন্সিলররা ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে করোনা সমস্যায় জর্জরিত মানুষের জন্যে নিজেদের ২ মাসের সন্মানী ভাতা এবং তিন মাসের সাহায্যের অনুদানের সমুদয় অর্থ দিয়ে (পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের সহযোগীতা ছাড়াই) ৮০টন চাউল ক্রয় করে লকডাউনের আওতায় ক্ষতিগ্রস্থ দিনাজপুরের বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার অসহায় মানুষদের মাঝে বিতরণ করেছেন তারা। এসময় পৌর মেয়রের কাছে এব্যাপারে আর্থিক সহায়তা চাইলে তিনি সাহায্য করতে একটি টাকাও দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
অথচ পৌর মেয়র নিজে সরকারী প্রশাসনের বিভিন্ন ত্রাণ-অনুদান, বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও বিত্তবান মানুষদের কাছে যে ত্রাণগুলো নিয়েছেন, সেগুলো কথায় কিভাবে বিতরণ করা হয়েছে তা পৌরবাসীর কাছে দৃশ্যমান নয়।
তিনি লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন পৌরসভায় চলামান এডিবি‘র সকল কার্য্যক্রম বন্ধ রেখেছেন পৌর মেয়র।
উপস্থিত কাউন্সিলররা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, আগামীতে যদি পৌরমেয়র এভাবেই কার্য্যক্রম চালাতে থাকে, তাহলে আন্দোলনসহ পৌর পরিষদ থেকে পদত্যাগের মত কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর মোস্তফা কামাল মুক্তি বাবু, রেহাতুল ইসলাম খোকা, রোকেয়া বেগম লাইজু, মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, মাসুদুল ইসলাম মাসুদ, আশরাফুল আলম রমজান, মাসতুরা বেগম পুতুল, কাজী আকবর হোসেন অরেঞ্জ, সানোয়ার হোসেন, মাকসুদা পারভিন মিনা ও জাহাঙ্গীর আলম।