খুলনা বিভাগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১০ জন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১১৬ জন ও পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন ২৯২ জন। এ বিভাগে আক্রান্ত ও মৃতের শীর্ষে রয়েছে খুলনা জেলা। আর করোনার প্রভাব কিছুটা কম রয়েছে মেহেরপুর জেলায়।
আজ বুধবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর থেকে এ সব তথ্য জানা গেছে। বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে আক্রান্ত ও মৃতের শীর্ষে রয়েছে খুলনা। জেলায় এ পর্যন্ত ১২০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪ জন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩৭ জন, পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন। এছাড়া জেলায় এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল ৪ হাজার ১০৬ জনকে। ১৪ দিন মেয়াদ পার হওয়ায় ৩ হাজার ২১৮ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আর আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছিল ১২০ জনকে। ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ৩৪ জনকে। বাকীরা এখনো কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনে আছেন। আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যশোর জেলা।
এ পর্যন্ত সেখানে ১০৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩৪ জন, পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন ৭৮জন, তবে কেউ মারা যায়নি। এছাড়া জেলায় এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল ৬ হাজার ৭৯২ জনকে। ১৪ দিন মেয়াদ পার হওয়ায় ৬ হাজার ৪৫৬ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আর আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছিল ১১০ জনকে। ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ৮১ জনকে। বাকীরা এখনো কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনে আছেন। আক্রান্তের সংখ্যায় তৃতীয় অবস্থানে আছে চুয়াডাঙ্গা জেলা।
এ পর্যন্ত সেখানে ৯৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২৮ জন, পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন ৭৭জন, মারা গেছেন ১ জন। এছাড়া জেলায় এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল ২ হাজার ৬৬৯ জনকে। ১৪ দিন মেয়াদ পার হওয়ায় ২ হাজার ৩৩২জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আর আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছিল ৯৮ জনকে। ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ৭৭জনকে। বাকীরা এখনো কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনে আছেন। আক্রান্তের সংখ্যায় চতুর্থ অবস্থানে আছে কুষ্টিয়া জেলা। এ পর্যন্ত সেখানে ৭৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৬ জন, পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন ২৯ জন, তবে কেউ মারা যায়নি।
এছাড়া জেলায় এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল ২ হাজার ৫৯৬জনকে। ১৪ দিন মেয়াদ পার হওয়ায় ২হাজার ৫৯১জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আর আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছিল ৯৫ জনকে। ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ৪৮ জনকে। বাকীরা এখনো কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনে আছেন। আক্রান্তের সংখ্যায় পঞ্চম অবস্থানে আছে ঝিনাইদহ জেলা। এ পর্যন্ত সেখানে ৫৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩ জন, পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন ৩০ জন, তবে কেউ মারা যায়নি।
এছাড়া জেলায় এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল ২ হাজার ৩৯৭জনকে। ১৪ দিন মেয়াদ পার হওয়ায় ২হাজার ২৬২জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আর আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছিল ৫৪ জনকে। ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ৩০জনকে। বাকীরা এখনো কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনে আছেন। আক্রান্তের সংখ্যায় ষষ্ঠ অবস্থানে আছে সাতক্ষীরা জেলা। এ পর্যন্ত সেখানে ৪৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন ১ জন, তবে কেউ মারা যায়নি।
এছাড়া জেলায় এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল ৪হাজার ১৭৭জনকে। ১৪ দিন মেয়াদ পার হওয়ায় ৩হাজার ৭৯৮জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আর আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ৪৭জনকে। বাকীরা এখনো কোয়ারেন্টিনে আছেন। আক্রান্তের সংখ্যায় সপ্তম অবস্থানে আছে বাগেরহাট জেলা। এ পর্যন্ত সেখানে ৩৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২ জন, পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন ৭ জন, মারা গেছেন ২ জন। এছাড়া জেলায় এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল ৮ হাজার ৩২জনকে। ১৪ দিন মেয়াদ পার হওয়ায় ৪হাজার ৫৫৪জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আর আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছিল ৩৪ জনকে। ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ৭জনকে। বাকীরা এখনো কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনে আছেন। আক্রান্তের সংখ্যায় অষ্টম অবস্থানে আছে মাগুরা জেলা। এ পর্যন্ত সেখানে ২৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১ জন, পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন ১৮ জন, তবে কেউ মারা যায়নি। এছাড়া জেলায় এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল ২হাজার ৪৩২জনকে। ১৪ দিন মেয়াদ পার হওয়ায় ২হাজার ৩৭০জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আর আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছিল ২৮ জনকে। ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ১৯জনকে। বাকীরা এখনো কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনে আছেন। আক্রান্তের সংখ্যায় নবম অবস্থানে আছে নড়াইল জেলা। এ পর্যন্ত সেখানে ২৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৪ জন, পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন ১৪ জন, মারা গেছেন ১ জন। এছাড়া জেলায় এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল ১ হাজার ৭০৬জনকে। ১৪ দিন মেয়াদ পার হওয়ায় ১হাজার ৬০২জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আর আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছিল ৪১ জনকে। ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ২৬জনকে। বাকীরা এখনো কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনে আছেন। আক্রান্তের সংখ্যায় দশম অবস্থানে আছে মেহেরপুর জেলা। এ পর্যন্ত সেখানে ২৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১ জন, পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন ৫ জন, মারা গেছেন ২ জন। এছাড়া জেলায় এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল ২ হাজার ১১৩জনকে। ১৪ দিন মেয়াদ পার হওয়ায় ১হাজার ৮৫৩জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আর আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছিল ২৯ জনকে। ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ৬জনকে। বাকীরা এখনো কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনে আছেন। খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মানুষের করোনার পরীক্ষার জন্য তিনটি পিসিআর ল্যাব দায়িত্বে রয়েছে।
এগুলো হলো, খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাব ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব। বিভাগে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গা জেলায়। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ রাশেদা সুলতানা এসব তথ্য দিয়ে বলেন, খুলনা বিভাগের প্রত্যেক জেলায় করোনায় মোকাবিলায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। আক্রান্তদের উপসর্গের মাত্রা কম থাকলে তাদেরকে বাড়িতে চিকিৎসা করা হচ্ছে। আর উপসর্গ বেশি হলে হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যারা সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরছেন তাদের বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।