মে মাস, ঈদের দু একদিন আগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তর সংখ্যা ছিলো ত্রিশহাজার। মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে তা পঞ্চাশ হাজার ছাড়িয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, সর্বদা মুখে মাস্ক পরে থাকা, বেশি বেশি পানি ও তরল জাতীয় খাবার, ভিটামিন সি ও ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, ডিম, মাছ, মাংস, টাটকা ফলমূল ও সবজি খাওয়াসহ শরীরকে ফিট রাখতে নিয়মিত হালকা ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে না চলা, সচেতনতার অভাবের কারনেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তর বৃদ্ধি। আগামীতে আরোও ভয়াবহ রুপ ধারন করতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনা পরীক্ষায় রিপোর্ট পেতে বেশ কয়েকদিন লেগে যাওয়ার কারণে দেশে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় রিপোর্ট দিনে দিনেই দিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে তাগিদ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে জনবল সংকটসহ নানা কারণে ফলাফল পেতে দেরি হওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশে করোনা রোগী শনাক্তকরণে পরীক্ষাগারের সংখ্যা বাড়লেও, নমুনা সংগ্রহ পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং ফলাফল পাওয়া নিয়ে এখনো রয়েছে নানা জটিলতা। বিশেষ করে পরীক্ষার জন্য নমুনা দেয়ার পর সময়মত ফলাফল না পাওয়ায়, আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে এ সময়ের মধ্যে সবার অজান্তেই অনেকে সংক্রমিত হচ্ছেন।
এরফলে দেশজুড়ে করোনা ঝুঁকি ক্রমেই বাড়ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জনবল সংকট আর পরীক্ষায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সক্ষমতার অভাবেই ফলাফল পেতে কয়েকদিন লেগে যাচ্ছে। পরীক্ষার ফল পেতে দেরী হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলে, ‘যেহেতু এটি সংক্রামক ব্যাধি তাই এটিকে নিয়ে আরেকটু মনোযোগী হওয়া দরকার। মাঝখানে একটা দিন সময় নিয়ে রিপোর্টটা প্রকাশ করার দরকার।’আইইডিসিআর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এএসএম আলমগীর বলেন, ‘নমুনা দেওয়ার পর ফলাফল পেতে দেরি হলে সে যদি পজিটিভ হয় তাহলে পরিবারে সংক্রমণের ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে। এখন যা জনবল আছে তা দ্বিগুণ বাড়াতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্দেহভাজন হলেই পরীক্ষার ফল না পাওয়া পর্যন্ত তাকে অন্যের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা উচিত।
এদিকে, নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা নিয়ে এখনো কিছু অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করে, এখন থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই করোনা পরীক্ষার ফল প্রকাশের তাগিদ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।
যে কারণেই হোক, নমুনা পরীক্ষার ফলাফল দেরীতে দেয়ার বিষয়টি কোনভাবেই কাম্য নয় বলে জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম।