মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পরীক্ষা বাড়িতে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। স্কুলগুলো নানা কৌশল অবলম্বন করে অভিভাবকদের কাছ থেকে বকেয়া বেতন ও পরীক্ষার ফিস আদায় করছে। সেই সাথে স্ব-স্ব শিক্ষার্থীর বাড়িতে পরীক্ষা নেয়ার জন্য খাতা ও প্রশ্নপত্র সরবরাহ করছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতে সচেতন মহলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সারাদেশে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখতে দোকান পাট ও যানচলাচল বন্ধ ঘোষনা করেন এবং শিশু সুরক্ষার কারনে সরকারি বেসরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করে সরকার। দফায় দফায় সাধারণ ছুটি বৃদ্ধি করে সরকার। সরকারি জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও সরকারি এ প্রজ্ঞাপনকে উপেক্ষা করছে গাংনীর অধিকাংশ কিন্ডার গার্টেন ও বেসরকারি স্কুল। স্কুলের শিক্ষকরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বেতন ও ফিস পরিশোধ করে খাতা ও প্রশ্ন পত্র সংগ্রহ করতে তাগিদ প্রদান করছেন।
গাংনী প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক জালাল উদ্দিন বলেন, আমরা প্রাথমিক অবস্থায় শুরু করেছিলাম কিন্তু পরে তা বন্ধ করে দিয়েছি। প্রশ্নপত্র সরবরাহ ও ছাপা নিদের্শনায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সাথে যোগাযোগ না করেই মনগড়া সিদ্ধান্তে পুর্বপ্রস্ততি নিয়ে প্রশ্ন ছাপা ও সররাহরে ব্যাপারে তিনি বলেন,আমাদের কোন নির্দেশনার দরকার হয়না।
জোড়পুকুরিয়া সানরাইজ কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আ.ফ.ম সামসুল কামাল টলা বলেন, আমরা একটি সাজেশন তৈরী করেছি শুধু মাত্র শিক্ষার্থীরা বাড়িতে বসে লেখা পড়ায় ফিরে আসে এবং মনোযোগী হয়।
গাংনী ফুলকুড়ি কিন্ডার গার্টেন ও জেলা কিন্ডার গার্টেন অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান, এটি পরীক্ষা নয়, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনোযোগী করা এবং পারিবারিক চাপে রাখার কৌশল মাত্র। আমার স্কুলের শিক্ষার্থীদের এ পরীক্ষায় কোন নম্বর দেয়া হবেনা, অন্য স্কুল কি করবে তা জানিনা।
গাংনী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দীন জানান, কিন্ডার গার্টেন স্কুল গুলি আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। ওরা অ্যাসোসিয়েশন ভুক্ত। বিধায় ওদের আমরা কন্ট্রোল করতে পারিনা। ওদেরকে এসোসিয়েশন নিয়ন্ত্রণ করবে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম শাহনেওয়াজ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।