রাজধানীর শ্যামবাজারে বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি অবশেষে ভাসিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে উদ্ধারকারীরা। ডুবে যাওয়ার প্রায় ২৬ ঘণ্টা পর বেলা ১১টার দিকে লঞ্চটিকে এয়ার লিফ্টিং ব্যাগ দিয় ভাসিয়ে তোলা হয়। এ সময় আরো এক মরদেহ উদ্ধার করা হয় । আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ‘লঞ্চডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে ফের উদ্ধার কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল। দিনভর এ উদ্ধার কাজ চলবে। এরই মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার শ্যামবাজার এলাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ রুটের মর্নিং বার্ড নামের একটি লঞ্চ অর্ধশত যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। গতকাল তিনটি শিশুসহ ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। এ ছাড়া ১৩ ঘণ্টা পরে একজনকে জীবিত উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। পরবর্তী সময়ে আজ মঙ্গলবার ২৬ ঘণ্টা পর আরো একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩৩ জনে। উদ্ধার করা ৩৩ মরদেহের মধ্যে পুরুষ ২১ জন, নারী ৯ জন এবং তিনটি শিশু।
সোমবার সকাল নয়টার দিকে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে তুলনামূলক ছোট মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়।
তাৎক্ষণিক উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীর সদস্যরা। ডুবে যাওয়া মর্নিং বার্ড লঞ্চটি উদ্ধারের জন্যে জাহাজ প্রত্যয় উদ্ধারের জন্য আসার পথে পোস্তগোলা ব্রিজে আটকে যায়। এতে ব্রিজটির ক্ষতির আশঙ্কা করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এ কারণে কারণে ব্রিজটিতে এক পাশের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।এ ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
এছাড়া, মৃত প্রত্যেকের পরিবারকে দেড় লাখ টাকা ও তাৎক্ষণিক ভাবে দাফন করা জন্য ১০ হাজার টাকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।