পীরগঞ্জে ৪ দিনের ব্যবধানে ১২ টি গরু চুরির ঘটনায় আতংকিত গরু মালিকেরা গোয়ালঘর পাহারা দিচ্ছেন।
এদিকে গ ১টি গরুসহ রঞ্জু মিয়া (৩২) নামে একজনকে দিনে আটকের পর রাতেই থানা থেকে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় এলাকায় ওই আতংক দেখা দিয়েছে।
একাধিক সুত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নের টিওরমারী গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ইটের গোয়াল ঘরের দেয়াল কেটে চোরেরা ৫টি গরু ও শানেরহাটের হরিরাম শাহাপুরের সাবেক সেনা সদস্য খন্দকার বদরে আলমের ১টি গরু, আগের দিন বৃহষ্পতিবার হরিণা গ্রামের কামরুল ও ফুল বাবুর ২টি করে ৪টি গরু এবং রোববার রাতে মদনখালী ইউনিয়নের উল্লাগাড়ী গ্রামের চাঁন মিয়ার ২টি গরু চুরি যায়। ওইসব ঘটনায় শুধু জয়নাল মামলা করেন।
বিষয়গুলোর প্রেক্ষিতে শনিবার বিকেলে পীরগঞ্জ থানার এসআই সাদ্দাম হোসেন বড়আলমপুর ইউনিয়নের ষোলঘরিয়া গ্রামের তোজা মিয়ার ছেলে রঞ্জুকে চোরাই গরু সন্দেহে ১টি গরুসহ আটক করে থানায় আনে। পরে তাকে গভীর রাতে গরুসহ ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে গরুর খামারের মালিক চেরাগপুর গনির বাজারের মাহমুদুন নবী রাজু মাস্টার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কিছুদিন আগে আমার খামার থেকে ১৩ লাখ টাকা মুল্যের ১৬ টি গাব গাভী চুরি হওয়ায় থানায় মামলা করলেও পুলিশ নির্বিকার। একটি গরুও উদ্ধার কিংবা চোরকে গ্রেফতার করেনি । দেখছি দেখছি বলে পুলিশ কালক্ষেপন করছে ।
তিনি আরও বলেন, পীরগঞ্জে গরু চুরি অব্যাহত থাকায় আমার মত অনেকেই আতংকিত হয়ে গোয়ালঘর পাহারা দিচ্ছেন।
বড়আলমপুর ইউপির চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান বলেন, থানায় মুচলেকা দিয়ে গরুসহ রঞ্জুকে ছাড়িয়ে নিয়েছি। এসআই সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা তো উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে যাই। এ সব ব্যাপারে ওসি স্যারই জানেন বলে তিনি মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
গরুসহ আটক রঞ্জুর ব্যাপারে থানার ওসি সরেস চন্দ্র বলেন- একজন ভাল মানুষকে তো খারাপ বলতে পারি না? রঞ্জুকে গরুসহ আটক করে থানায় এনে ছেড়ে দিলেন কেন ? এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে তিনি উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, রঞ্জু যে চোর বা গরুটি চোরাই, তা কি প্রমান করতে পারবেন? উল্লেখ্য, চুরি যাওয়া ১২টি গরু উদ্ধার হয়নি।