নীলফামারীর সৈয়দপুরে করোনা ভাইরাসের সাথে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। করোনা নমুনা নিয়েও পরীক্ষা করার ল্যাব না থাকায়। যেমন শহরবাসীর মাঝে আতঙ্ক বেড়েছে তেমনি বৃষ্টি ও গরমে স্যাতসেতে পরিবেশে আগাছা বৃদ্ধি পেয়ে মশার বংশবৃদ্ধিতে ডেঙ্গু আতঙ্ক বিরাজ করছে সর্বত্র।
সচেতন মহল বলছেন শহরকেন্দ্রিক রাস্তাঘাট কিছুটা পরিস্কার করা হলেও নালা নর্দমা পরিষ্কার করা হয় না বছরের পর বছর। এর ফলে সব ধরনের মশার বংশবিস্তার ঘটছে।
মহলটি আরও বলেন দেশের অষ্টম বাণিজ্যিক শহর হলো সৈয়দপুর। প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হওয়ায় বিশ্ব ব্যাংকসহ বড় বড় এনজিওর কর্মধাররা এ শহরকে ঢেলে সাজাতে প্রতি বছরই কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে আসছে। বরাদ্দকৃত ওই অর্থে শহরের রাস্তাঘাট ও ড্রেন নির্মাণ হলেও পরিকল্পিত ভাবে সেগুলি নির্মাণ করা হয় নি।
এর ফলে দুই এক বছর পার হতে না হতেই যেমন রাস্তার কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে তেমনি ময়লা আবর্জনায় ভরে যাচ্ছে নালা নর্দমা। সামান্য বৃষ্টিতে ভেঙে যাওয়া রাস্তায় ও ড্রেনে জমে থাকা ময়লা পানিতে প্রায় প্রতিদিনই বিস্তার করছে লাখ লাখ মশা। অন্যদিকে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় মাস্কের ব্যবহার না করা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় না থাকা সহ করোনা ভাইরাস নির্ণয়ে কোনো ধরনের ল্যাব না থাকায় সর্বত্র চলছে করোন আতঙ্ক।
ঝড় বৃষ্টি রোদের কারণে শহরের প্রায় ঘরে ঘরে আক্রান্ত হচ্ছে জ্বর, সর্দি ও কাশি এসব মানুষজন করোনায় আক্রান্ত না হলেও আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না।
পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে এডিস মশা নিধনে নিয়মিত ফগার মেশিন দিয়ে বিশ প্রয়োগ করা হচ্ছে তবে জনবল সংকটের কারণে একযোগে সর্বত্রে বিশ প্রয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে শতভাগ মশা নিধনও সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানান তারা।
স্থানীয় ১০০ শয্যা হাসপাতালের আরএমও ডাঃ আরিফুল ইসলাম জানান ডেঙ্গু প্রতিরোধে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এ ধরনের রোগী এলেই দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব বলে জানান। তবে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করতে ল্যাব না থাকায় তিনিও চিন্তিত বলে জানান।