বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের খোর্দ্দ শিমলা গ্রামে পুকুরপাড় দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা করা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিমলা গ্রামের আবুল কালামের বাড়ি হতে তারাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত পায়ে চলার রাস্তা পূর্বে থেকেই ছিল। ওই রাস্তা দিয়েই গ্রামের লোকজন চলাফেরা করে আসছে। খোর্দ্দ শিমলা মৌজার ৯৫নং দাগের সম্পত্তির মালিক ওই গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক। উল্লেখিত দাগের সম্পত্তিতে তার পুকুর রয়েছে। পুকুরপাড়ে ফলের ও কাঠের গাছসহ অন্যান্য গাছপালা রয়েছে। তাই গাছপালা সংরক্ষণের জন্য তিনি পুকুরপাড়ে বাঁশের বেড়া দেয়।
এদিকে ওই গ্রামের মজিদুল ইসলাম, সুরুজ আলী, মমতা বেগম, শফিকুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার ও রুবেল মিয়াসহ কতিপয় ব্যক্তি তাদের সুবিধার্থে উক্ত পুকুরপাড় দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা করতে চায়। এ কারণে গত ৮ জুলাই তা নিয়ে মতবিরোধ ও ঝগড়াঝাটির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১৫ জুলাই) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, কতিপর ব্যক্তি তাদের নিজের সুবিধার জন্য আমার পুকুরপাড় দিয়ে রাস্তার দাবি করছে। কিন্তু সেখান দিয়ে রাস্তা নেই বা ছিল না। আমার পুকুরপাড়ের গাছপালা সংরক্ষণের জন্য বাঁশের বেড়া দেয়া দিয়েছি। আমি রাস্তা বন্ধ করিনি।
এ প্রসঙ্গে মজিদুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা দুদিক দিয়েই চলাচল করে থাকি। পুকুরপাড়ে বেড়া দেয়ায় সেদিক দিয়ে চলাচল করতে পারছি না।
স্থানীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, পুকুরপাড় দিয়ে কখনোই রাস্তা ছিল না। কতিপয় ব্যক্তি তাদের সুবিধার্থে পুকুরপাড় দিয়ে রাস্তা দাবি করছে।